<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বরিশালে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল মজুদের বিশালাকৃতির সংরক্ষণাগার নির্মিত হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতেই খাদ্য বিভাগকে সাইলোটি হস্তান্তর করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাই এটি খাদ্যসংকট মোকাবেলা ও দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জানিয়েছেন। সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাইলো পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, ২০২১ সালের জুনে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে নগরীর ৩০ গোডাউন এলাকায় ৫২০ শতাংশ জমিতে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে সাইলো নির্মাণ শুরু হয়। নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশ এবং দ্য জিএসআই গ্রুপ, এলএলসি-ইউএসএ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি স্টিল রাইস সাইলোটি ঘুরে দেখা গেছে, ১৬টি বিনের সব কয়টির স্থাপন কাজ শেষ হয়ে গেছে। কীর্তনখোলা নদী থেকে সাইলো পর্যন্ত জেটি, টপ সাইলো স্টিল ব্রিজ, টপ সাইলো স্টিল কলাম, অবকাঠামো ও ট্রাক স্কেল ল্যাব ওয়েটসহ অন্যান্য কাজ শেষ হয়েছে। পরীক্ষার জন্য সাইলোতে প্রায় ১৫০ টন চাল রাখা হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে খাদ্য বিভাগের কাছে সাইলো হস্তান্তর করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ খাদ্যগুদামে প্রায় ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই দুই থেকে তিন বছর পুষ্টিমান বজায় রেখে মজুদ করা সম্ভব হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার তনুশ্রী রঞ্জন দাস বলেন, ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল এই সাইলোতে মজুদ রাখা যাবে। স্টিল রাইস সাইলোটিতে স্বয়ংক্রিয় তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে দুই বছর পর্যন্ত চালের পুষ্টিগুণ অটুট রেখে সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষিত চাল প্যাকেটজাত ও বস্তাবন্দি করতে ঘণ্টায় ৫০০ টন গতির বেল্ট কনভেয়িং এবং চেইন কনভেয়িং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নদী ও সড়কপথে আসা চাল জেটি থেকে কনভেয়ার বেল্ট-এর মাধ্যমে অটোমেশনে সংরক্ষণাগারে মজুদ করা হবে। অত্যাধুনিক ব্যাগে প্যাকেট করে খাদ্য প্রস্তুতসহ খাদ্যসংকট মোকাবেলায় এই সাইলো ভূমিকা রাখবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই সাইলোর মাধ্যমে বরিশাল অঞ্চলে খাদ্য সংরক্ষণের দীর্ঘদিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে মন্তব্য করেছেন বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নদীপথে বার্জের মাধ্যমে খাদ্য পরিবহন হবে। আবার ট্রাকের মাধ্যমেও সড়কপথে খাদ্য পরিবহন করা যাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি আরো বলেন, বরিশাল অঞ্চলে ব্যাপক ধানের উৎপাদন হয়। সে তুলনায় অটো রাইস মিল রয়েছে ১৮টি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাইলো পরিদর্শন শেষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খরা, ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের পর ক্ষেতে ফসল ওঠা পর্যন্ত এই সাইলোর মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>