<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যশোরের বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজের আহবায়ক কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে নাটকীয় মোড় নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির নির্ধারিত সভা থাকলেও অধ্যক্ষ গাঢাকা দেওয়ার কারণে সভা হয়নি। নতুন সভাপতি কলেজে এসে অধ্যক্ষের রুমে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চলে যান। বিষয়টি নিয়ে বাঘারপাড়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজে নতুনভাবে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান নামের এক কলেজ শিক্ষক। বাঘারপাড়া ডিগ্রি মহিলা কলেজের এই শিক্ষক বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব হোসেনের ভাগ্নে। আবার বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন টি এস আইয়ুবের ভাগ্নির জামাই। আত্মীয়তার এই যোগসূত্রে টি এস আইয়ুবের পছন্দে ও তদবিরে আসাদুজ্জামান ওই কলেজের সভাপতি মনোনীত হন। দুই মাস পার না হতেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গত ২৪ ডিসেম্বর আসাদুজ্জামানকে অপসারণ করে নুরে আলম সিদ্দিকী নামে হাইকোর্টের এক আইনজীবীকে নতুন অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেন। নুরে আলম সিদ্দিকী কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহআইন বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বর্তমান কমিটির সহসম্পাদক। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা দক্ষিণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়ক ছিলেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে যশোর-৪ আসনে বিএনপি থেকে যে তিনজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে একজন নুরে আলম। তাঁর গ্রামের বাড়ি যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের মামড়াখোলা গ্রামে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ছিল ম্যানেজিং কমিটির নির্ধারিত সভা। সভায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন আশঙ্কায় কলেজ অধ্যক্ষ বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করেন। এদিকে বাঘারপাড়া উপজেলা ছাত্রদল গতকাল সকালে মিছিল নিয়ে সভাপতি আসাদুজ্জামানকে ফের বহালের দাবি তোলে। পরে কলেজে প্রবেশ করে শিক্ষকদের যার যার মতো করে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। ভয়ে কলেজের সব শিক্ষক বের হয়ে যান। এ সময় অধ্যক্ষ অন্য ভবনে গাঢাকা দেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে দুপুর ১২টার দিকে কলেজের নতুন সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী অধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করেন। অপ্রীতিকর ঘটনা সামাল দিতে আগে থেকে পুলিশের একটি বড় টিম সেখানে উপস্থিত ছিল। কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন, ম্যানেজিং কমিটির অন্য দুই সদস্য মাসুদ আলম টিপু ও আব্দুল হাই মনা উপস্থিত না হওয়ায় নুরে আলম সিদ্দিকী কিছুক্ষণ বসে থেকে চলে যান। এরপর তিনি বাঘারপাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল বিশ্বাসের কবর জিয়ারত করে বাঘারপাড়া ত্যাগ করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজের নির্ধারিত সভা না হওয়া ও নুরে আলম সিদ্দিকী কলেজে প্রবেশ করতে পারা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিয়ম অনুযায়ী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন সভা আহবান করেছেন। আমি সময়মতো কলেজে উপস্থিত হয়েছি। কী কারণে অধ্যক্ষ ও অন্যান্য সদস্য উপস্থিত হননি তা আমার কাছে স্পষ্ট না। তবে শুনেছি বিএনপির এক বিশেষ নেতার কিছু কর্মীবাহিনী কলেজে সকালেই আতঙ্ক সৃষ্টি করে। যে কারণে হয়তো অধ্যক্ষ সাহেব গাঢাকা দিয়েছেন। তবে বিষয়টি আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিতভাবে জানাব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন কেন কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন তা জানার জন্য তাঁর মোবাইলে ফোন দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।</span></span></span></span></p>