ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিক্ষার্থীদের আগেই সুযোগ-সুবিধা ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত

মোহাম্মদ জোবায়ের
মোহাম্মদ জোবায়ের
শেয়ার
শিক্ষার্থীদের আগেই সুযোগ-সুবিধা ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত

ইনফিনিটি গ্লোবাল অ্যাকসেস এক দশকের বেশি সময় ধরে উচ্চশিক্ষাসংক্রান্ত পরামর্শ ও সেবা প্রদান করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ভিসা আবেদন এবং অন্যান্য সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ফিনল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, ইতালি, হাঙ্গেরি, লিথুয়ানিয়াসহ নানা দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে তথ্য ও সহায়তা প্রদান করি।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে পড়াশোনার জনপ্রিয় বিষয়গুলোর মধ্যে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রি, ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবটিকস, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনমিকস, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি প্রোগ্রাম অত্যন্ত জনপ্রিয়।

এই বিষয়গুলো বৈশ্বিক চাহিদা ও শিক্ষার মানের কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় বিকল্প তৈরি করে।

ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, সুইডেন, লিথুয়ানিয়া ও ইতালিতে পড়াশোনার জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা আবশ্যক। সাধারণভাবে ফিনল্যান্ডে ব্যাচেলর অথবা মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ৬.৫ থেকে ৭.০ পর্যন্ত আইইএলটিএস অথবা ৯০ থেকে ১০০ টোফেল স্কোরের প্রয়োজন হয়। ডেনমার্কে একই রকম স্কোর প্রয়োজন, যেখানে ৬.৫ থেকে ৭.০ আইইএলটিএস অথবা ৮০ থেকে ১০০ টোফেল দরকার।

হাঙ্গেরিতে সাধারণত ৬.০ থেকে ৬.৫ আইইএলটিএস বা ৮০ টোফেল প্রত্যাশিত। সুইডেনে ৬.৫ থেকে ৭.০ আইইএলটিএস অথবা ৯০ থেকে ১০০ টোফেল গ্রহণযোগ্য। লিথুয়ানিয়া ও ইতালিতে ইংরেজি মাধ্যমের প্রোগ্রামের জন্য ৬.০ থেকে ৭.০ আইইএলটিএস এবং ৮০ থেকে ১০০ টোফেল প্রয়োজন। ইংরেজিতে দক্ষতার অধিকারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি প্রক্রিয়ায় সুবিধা পায়, আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু নির্বাচনের সুযোগ পায়, সংস্কৃতির সঙ্গে মিশতে সক্ষম হয় এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা লাভ করে।
তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ছাত্র ভিসার জন্য আবেদনের সময় এই দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপে অনেক গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম, বিশেষ করে বিজনেস স্কুলগুলো জিএমএটি অথবা জিআরই স্কোরের প্রয়োজনীয়তা রাখে।  প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে এবং ভর্তি কমিটি সাধারণত এককভাবে প্রোফাইল বিবেচনা করে, এর মধ্যে একাডেমিক পারফরম্যান্স ও কর্ম অভিজ্ঞতা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, সুইডেন, লিথুয়ানিয়া ও ইতালিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। ফিনল্যান্ডে নন-ইইউ/ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ড স্কলারশিপস এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত স্কলারশিপ পাওয়া যায়, যা সাধারণত একাডেমিক মেধা ও অর্থনৈতিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিতরণ করা হয়।

ডেনমার্কে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নন-ইইউ/ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রদান করে, যার মধ্যে ডেনিশ সরকারের স্কলারশিপস অন্তর্ভুক্ত। হাঙ্গেরিতে স্টিপেনডিয়াম হাঙ্গারিকাম স্কলারশিপ প্রোগ্রাম আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দেয়, যা একাডেমিক মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়। সুইডেনে স্বিডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপস ফর গ্লোবাল প্রফেশনালস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর জন্য উপলব্ধ। লিথুয়ানিয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ সরবরাহ করে, যা সাধারণভাবে একাডেমিক মেধার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। ইতালিতে ইনভেস্ট ইওর ট্যালেন্ট ইন ইতালি প্রোগ্রাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত স্কলারশিপগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা প্রদান করে, যা সাধারণত একাডেমিক অর্জনের ওপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়। প্রতিটি দেশের নির্দিষ্ট স্কলারশিপের জন্য আলাদা আবেদন প্রক্রিয়া ও শর্তাবলি রয়েছে, তাই আগ্রহী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য দেখা উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি পরিশোধের সময় বেশ কিছু সুবিধা এবং ইতিবাচক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের জন্য ফি পরিশোধের সময় নমনীয় পরিকল্পনা সরবরাহ করে, যাতে তারা পুরো ফি একবারে পরিশোধ করার পরিবর্তে সেমিস্টারভিত্তিক দিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায়ই স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করে, যা যোগ্য শিক্ষার্থীদের টিউশন খরচ জোগাতে সাহায্য করে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান অনলাইন প্ল্যাটফরমে সহজে টিউশন ফি পরিশোধের সুযোগ দেয়। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সময়মতো ফি পরিশোধ করলে আর্লি বার্ড স্কলারশিপ প্রদান করে। এ ছাড়া আর্থিক পরামর্শ সেবা পাওয়া যায়, যা শিক্ষার্থীদের ফি পরিশোধের বিভিন্ন বিকল্প সম্পর্কে তথ্য দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চমানের শিক্ষা, পেশাদার নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ, ইন্টার্নশিপ ও ক্যারিয়ার সেবা, বিভিন্ন অতিরিক্ত কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সুযোগ প্রদান করে, যা শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নত করতে এবং আত্মনির্ভর হতে সহায়ক। এইসব সুবিধা ও সুযোগ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাযাত্রা এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, সুইডেন, লিথুয়ানিয়া ও ইতালিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার বেশ কিছু সুযোগ রয়েছে। ফিনল্যান্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারে, যেখানে হসপিটালিটি ও খুচরা খাতে কাজের সুযোগ রয়েছে। ডেনমার্কে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারে এবং ক্যাফে ও রেস্তোরাঁগুলোতে কাজ পাওয়া যায়। হাঙ্গেরিতে শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারে এবং সেখানে গ্রাহকসেবা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহকারী পদের সুযোগ রয়েছে। সুইডেনে নন-ইইউ শিক্ষার্থীরা সীমাবদ্ধতা ছাড়া কাজ করতে পারে এবং প্রযুক্তি খাতে কাজের সুযোগ রয়েছে। লিথুয়ানিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারে এবং আইটি ও বাণিজ্য খাতে সুযোগ পায়। ইতালিতে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারে, বিশেষ করে হসপিটালিটি খাতে। কাজ করা শিক্ষার্থীদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন, জীবনের খরচ কাভার করা ও পেশাদার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সুযোগ দেয় এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয় কাজের সুযোগ খুঁজতে সহায়তা করে। তবে কাজের অনুমতি সম্পর্কিত নির্দিষ্ট বিধিমালা যাচাই করা আবশ্যক।

ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, সুইডেন, লিথুয়ানিয়া ও ইতালিতে পড়াশোনার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ দেখানো আবশ্যক। ফিনল্যান্ডে ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং যেকোনো স্কলারশিপের প্রমাণ প্রয়োজন। ডেনমার্কে স্টুডেন্টের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হয় না, কিন্তু স্পাউসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়। হাঙ্গেরিতে টিউশন ও জীবিকার খরচের জন্য পর্যাপ্ত ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হয় এবং স্কলারশিপের প্রমাণ গ্রহণযোগ্য। সুইডেনে ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা অন্যান্য আর্থিক নথি প্রদান করা আবশ্যক। লিথুয়ানিয়ায় আর্থিক সহায়তার প্রমাণ দরকার, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের খরচ মেটাতে সক্ষম কি না নিশ্চিত করা যায়। ইতালিতে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়, যা স্কলারশিপের প্রমাণ প্রক্রিয়া সহজ করে। এইসব তথ্য মনে রেখে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, সুইডেন, লিথুয়ানিয়া ও ইতালিতে পড়াশোনার জন্য ভিসাপ্রাপ্তিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমত, সব প্রয়োজনীয় নথি, যেমনআর্থিক প্রমাণ, ভর্তিপত্র ও পরিচয়পত্র সঠিকভাবে জমা দিতে হয়। এ ছাড়া টিউশন ও জীবিকার খরচ কাভার করার জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সচ্ছলতা দেখানো প্রয়োজন, যা ক্ষেত্রবিশেষে কঠিন হয়ে পড়ে। ভাষার প্রতিবন্ধকতা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিভিন্ন দেশের ভিসা নিয়ম ও প্রয়োজনীয়তা বোঝা এবং আপডেট থাকা অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব এবং স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপস্থাপন করাও চ্যালেঞ্জ হতে পারে। নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়া এবং কখনো কখনো ইন্টারভিউ দিতে হলে তা শিক্ষার্থীদের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া বিভিন্ন দূতাবাস থেকে অস্পষ্ট নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। সব মিলিয়ে যথাযথ পরিকল্পনা ও সহায়তা গ্রহণ করলে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপায় বের করা সম্ভব। এইসব দিক বিবেচনা করে ইনফিনিটি গ্লোবাল অ্যাকসেস শুরু থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সব ধরনের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে।

ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, সুইডেন, লিথুয়ানিয়া ও ইতালিতে পড়াশোনার জন্য হেলথ ইনস্যুরেন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফিনল্যান্ডে নন-ইইউ/ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য হেলথ ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক এবং মেডিক্যাল খরচের প্রমাণ দিতে হয়। ডেনমার্কে সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর জন্য হেলথ ইনস্যুরেন্স আবশ্যক, যেখানে ইইউ নাগরিকদের পাবলিক হেলথ ইনস্যুরেন্স এবং নন-ইইউ নাগরিকদের জন্য প্রাইভেট হেলথ ইনস্যুরেন্স প্রয়োজন। হাঙ্গেরিতে ইইউ দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাইভেট হেলথ ইনস্যুরেন্স প্রয়োজন, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী হবে। সুইডেনে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য যথাযথ হেলথ ইনস্যুরেন্স প্রয়োজন, প্রমাণও আবশ্যক। লিথুয়ানিয়ায় নন-ইইউ শিক্ষার্থীদের জন্য হেলথ ইনস্যুরেন্স প্রয়োজন এবং এটি মেডিক্যাল খরচ কাভার করতে হবে। ইতালিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের হেলথ ইনস্যুরেন্সের প্রমাণ প্রদান করতে হয়, যেখানে ইইউ শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন হলে ইউরোপিয়ান হেলথ ইনস্যুরেন্স কার্ড (ইএইচআইসি) ব্যবহার করতে পারে। সব মিলিয়ে এইসব দেশের শিক্ষার্থীরা হেলথ ইনস্যুরেন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে মেডিক্যাল সেবায় প্রবেশাধিকার এবং অপ্রত্যাশিত স্বাস্থ্য খরচ থেকে সুরক্ষা পেতে পারে।

উচ্চশিক্ষায় আবেদনরত শিক্ষার্থীরা তাদের স্পাউসকে সঙ্গে নেওয়ার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও সুইডেনের মধ্যে পছন্দ করতে গেলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়; যেমনফিনল্যান্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা তাদের স্পাউসের জন্য বাসস্থান অনুমতি পেতে পারে এবং তারা সেখানে কাজও করতে পারে। ডেনমার্কেও একই সুবিধা রয়েছে। সুইডেনেও স্পাউসের জন্য বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয় এবং তারা সেখানে কাজও করতে পারে। সাধারণত সুইডেন ও ফিনল্যান্ড একটু বেশি পছন্দনীয়। কিন্তু ব্যক্তিগত পছন্দ, ভাষা ও পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রতিটি দেশের ভিসা নিয়ম এবং পড়াশোনার সুযোগ ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত।

ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক অথবা সুইডেনে স্পাউস ভিসার মাধ্যমে কাজের অনুমতি পেতে প্রতিটির নিজস্ব প্রক্রিয়া রয়েছে। ফিনল্যান্ডে স্পাউস ভিসা পাওয়ার মাধ্যমে আলাদা পরবর্তী অনুমতির প্রয়োজন নেই। কারণ পরিবারিক সম্পর্কের আবাসিক অনুমতি পাওয়ার পর কাজ করার অধিকার থাকে, যা ফিনিশ ইমিগ্রেশন সার্ভিস (মিগ্রি) থেকে অনুমোদিত হয়। ডেনমার্কে আপনাকে ডেনিশ আন্তর্জাতিক নিয়োগ ও সংহতি সংস্থার (এসআইআরআই) মাধ্যমে আবাসিক অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে, যা অনুমোদন পাওয়ার পর আপনাকে কাজ করার সুযোগ দেয়। সুইডেনে স্পাউস ভিসা আপনাকে পারিবারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে আবাসিক অনুমতির জন্য আবেদন করার অনুমতি দেয়, যেটি সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সি (মাইগ্রেশন) মাধ্যমে করা হয় এবং এটি আপনাকে কাজ করার অধিকার দেয়। সব ক্ষেত্রে নিশ্চিত করুন যে আপনার নথিগুলো সঠিক এবং প্রয়োজনে আইনগত সহায়তা নিন। পাশাপাশি সর্বশেষ তথ্যের জন্য অফিশিয়াল ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটগুলো পরীক্ষা করুন।

ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, সুইডেন, লিথুয়ানিয়া ও ইতালিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জীবনযাত্রার খরচ প্রতি মাসে আনুমানিক ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০ ইউরো, যেখানে থাকার ব্যবস্থা, খাবার, পরিবহন ও বিনোদনের ব্যয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। ডেনমার্কে, বিশেষ করে কোপেনহেগেন শহরে প্রতি মাসে খরচ এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ ইউরো হতে পারে। হাঙ্গেরিতে ছাত্রদের জন্য জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলকভাবে কম, প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৭০০ ইউরো। সুইডেনে জীবনযাত্রার খরচ সাধারণভাবে প্রতি মাসে ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ ইউরো। লিথুয়ানিয়ায় খরচ প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৭০০ ইউরো, যা শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী। ইতালিতে জীবনযাত্রার খরচ প্রতি মাসে ৮০০ থেকে এক হাজার ৫০০ ইউরো হতে পারে, তবে তা শহরের ওপর নির্ভর করে। বিভিন্ন শহরের খরচ বিবেচনায় নিয়ে এবং বাসস্থানের সুযোগ দেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার ব্যয় পরিকল্পনা করা উচিত।

ইনফিনিটি গ্লোবাল অ্যাকসেস ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনায় সেবার বৈচিত্র্য আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমনপ্রিলিমিনারি ওরিয়েন্টেশন ও ক্যারিয়ার পরামর্শ প্রদান করছে। একই সঙ্গে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা এবং ডিজিটাল চ্যানেল ও শিক্ষামূলক মেলার মাধ্যমে মার্কেটিং প্রচারণা বাড়ানো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া আমি ছাত্রদের জন্য একটি ইন্টার্যাক্টিভ অনলাইন প্ল্যাটফরম তৈরির পরিকল্পনা করছি। স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তা সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছি এবং তাদের স্থানান্তরের সহায়তার জন্য সাংস্কৃতিক সচেতনতা প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছি। মেন্টরিংয়ের জন্য অনলাইন নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা, দেশের অন্যান্য শহরে পরিষেবা সম্প্রসারণ, স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্মশালা পরিচালনার জন্য সহযোগিতা এবং কর্মচারীদের উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করা আমাদের এজেন্সির সফলতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হবে বলে মনে করছি।

 

লেখক : ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইনফিনিটি গ্লোবাল অ্যাকসেস

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এআই ফ্রিজ

    ওয়ালটন ফ্রিজ বাজারজাত করার আগে ৭০টিরও বেশি কোয়ালিটি কন্ট্রোল টেস্ট পাস করতে হয়। এভাবেই কম্পানির সাফল্যের কারণ জানালেন ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিনুল হক। কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়ালটন ফ্রিজের মান ও বাজার প্রবৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেন তিনি
শেয়ার
সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এআই ফ্রিজ

ঈদ উপলক্ষে বাজারে আসা ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের প্রযুক্তি ও ফিচার সম্পর্কে বলুন?

ঈদ সামনে রেখে অর্ধশতাধিক অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ বেশ কিছু নতুন মডেলের ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। নতুন মডেলের এসব ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে ৬৫২ লিটার ধারণক্ষমতার মাল্টিকালার ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর, নাইন-ইন-ওয়ান কনভার্টিবল মোডসমৃদ্ধ ৬৬০ লিটার ফ্রেঞ্চ ডোর রেফ্রিজারেটর, ইউরোপিয়ান ডিজাইনের ৩৪৩ লিটার অত্যাধুনিক নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ৩০৩ লিটার ভার্টিকাল নন-ফ্রস্ট ফ্রিজার, ২২৪ লিটার বেভারেজ কুলার, কনভার্টিবল মোডের ২৫৫ লিটার চেস্ট ফ্রিজার এবং কনফেকশনারি কুলার। ওয়ালটন নতুন মডেলে ব্যবহৃত এআই ডক্টর ফিচার গ্রাহকের বাসায় ব্যবহৃত ফ্রিজে কোনো সমস্যা থাকলে তা আগেই ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরা জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী দ্রুত ফ্রিজের সমস্যাটি সমাধান করবেন।

ফ্রিজে দেশের নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

এই অবস্থান ধরে রাখার পেছনের কারণগুলো কী?

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিমের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজে সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি ও ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। ওয়ালটন ফ্রিজ যেমন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, তেমনি দামেও সাশ্রয়ী। ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ওয়ালটন ফ্রিজ। পাশাপাশি রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্ববৃহৎ সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা।

শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সামনের দিনগুলোতে কোন জায়গায় বিশেষ জোর দিচ্ছেন? 

দেশীয় রেফ্রিজারেটর বাজারে শীর্ষস্থান বজায় রাখতে রেফ্রিজারেটর খাতের অটোমেশন, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে অধিক জোর দিয়েছি আমরা। চতুর্থ শিল্প বিল্পবের নতুন নতুন যে অটোমেশন প্রযুক্তি আছে সেগুলোর ব্যবহার বাড়াতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্য উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনেও প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে ওয়ালটন কতটা এগিয়ে? 

বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

তাই ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে এমএসও প্লাস (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংস বেজড এই প্রযুক্তি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথম বিএসটিআইয়ের ৫-স্টার এনার্জি রেটিং সনদপ্রাপ্ত ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদনে অনেক দেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বে ওয়ালটনই প্রথম পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ইউএনডিপির সমন্বয়ে ফ্রিজে ক্ষতিকারক সিএফসি ও এইচসিএফসি গ্যাস ফেজ আউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

দেশের রেফ্রিজারেটর বাজারে কোন কোন দিক থেকে ওয়ালটন আলাদা?

ফ্রিজের বাজারে সর্বোচ্চসংখ্যক ডিজাইন ও মডেল, গুণগতমান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের দিক থেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ওয়ালটন। আমাদের স্বতন্ত্র বৈশ্বিষ্ট্য হচ্ছেদক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিম রয়েছে আমাদের। তাঁরা ১২০টি দেশের আবহাওয়ার প্যাটার্ন অনুযায়ী ফ্রিজের ডিজাইন তৈরি করছে। অঞ্চলভেদে আমাদের দেশের আবহাওয়ার তারতম্য রয়েছে। সব ধরনের আবহাওয়া উপযোগী করে ওয়ালটন ফ্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। যে কারণে ওয়ালটন ফ্রিজ অনেক বেশি টেকসই হয়। ওয়ালটন ফ্রিজ বাজারজাত করার আগে ৭০টিরও বেশি কোয়ালিটি কন্ট্রোল টেস্ট পাস করতে হয়। এ জায়গায়ই আমাদের সফলতা। এ ছাড়া দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের নিশ্চয়তায় আমাদের আছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্ববৃহৎ আফটার সেলস সার্ভিস নেটওয়াক। মূলত এসব কারণে অন্যান্য ব্র্যান্ডের থেকে আলাদা ওয়ালটন ফ্রিজ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন ফ্রিজ টানা ১১ বারের মতো বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।

স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার উদ্ভাবনে ওয়ালটনের সাফল্য কতটুকু? এ খাতে বিনিয়োগ কেমন?

ওয়ালটনে বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যয় হচ্ছে পণ্য গবেষণা, উদ্ভাবন ও অটোমেশনে। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে গড়ে তোলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। যেখানে কাজ করছেন বাংলাদেশ, কোরিয়া, ইটালি, চীন, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশের অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের এক চৌকস টিম। তাঁরা প্রতিনিয়ত বাজার গবেষণার মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংসের মতো স্মার্ট প্রযুক্তি ওয়ালটন ফ্রিজে সংযোজন করেছেন।

ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রয়ে কোনো বিশেষ সুবিধা রয়েছে কী?

দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য আবারও মিলিয়নেয়ার হওয়ার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ওয়ালটন ফ্রিজের প্রত্যেক ক্রেতার জন্য রয়েছে নিশ্চিত উপহার।

ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে কোন কোন দেশে? রপ্তানি নিয়ে আগামী দিনের পরিকল্পনা কী?

ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ইরাক, ইয়েমেন, নাইজেরিয়া, তুরস্ক, অস্ট্রিয়াসহ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ ৪০টিরও বেশি দেশে রেফ্রিজারেটরসহ ফ্রিজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রপ্তানি করছে ওয়ালটন। গত অর্থবছরে প্রায় এক লাখ ইউনিট ফ্রিজ রপ্তানি করেছি আমরা। ২০২৬ সালের মধ্যে তিন লাখ ইউনিট ফ্রিজ রপ্তানির টার্গেট রয়েছে আমাদের। সে জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের বাজারে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছি আমরা।   

 

মন্তব্য

ঈদে মিলছে নানা অফার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদে মিলছে নানা অফার

কম্পানিগুলো ক্রেতা আকর্ষণে ফ্রিজ বিক্রিতে বিশেষ অফার দিয়েছে। ফ্রিজ কিনে লাখপতি ও কোটিপতি হওয়ারও অফার চলছে দেশি কয়েকটি কম্পানিতে। নগদ টাকায় ফ্রিজ কিনলে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট সুবিধাও রেখেছে অনেক কম্পানি। প্রায় সব ব্র্যান্ডের ফ্রিজে রয়েছে কিস্তির সুবিধা।

রাজধানীর বাড্ডার মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক ব্রাঞ্চের ম্যানেজার হাসান মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ঈদ উপলক্ষে গত কয়েক মাসের তুলনায় ফ্রিজের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। অনেকে শোরুমে এসে ফ্রিজ দেখে দামদর জেনে যাচ্ছেন। ঈদ উপলক্ষে আমাদের সব ফ্রিজে কোটিপতি হোন অফার চলছে। সর্বোচ্চ ৫৩ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট রয়েছে।

সঙ্গে মিনিস্টারের ফ্রিজ কিনলেই স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে নিশ্চিত উপহার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

রাজধানীর রামপুরা ভিশন শোরুমের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মেহেদী হাসান বলেন, ভিশন ব্র্যান্ডের সব ধরনের ফ্রিজে ফুলঝুরি অফার চলছে। ফ্রিজ কিনলেই গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্য ফ্রি পেয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় ওয়ালটন শোরুমের ম্যানেজার মোস্তফা কামাল (সোহাগ) বলেন, ওয়ালটনের প্রত্যেকটি ফ্রিজে লাখপতি অফার চলছে।

ফ্রিজ কিনে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি ফ্রিজে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট সুবিধাও রয়েছে। আমাদের ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার দুই ধরনের ফ্রিজ রয়েছে। তবে এখন সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ইনভার্টার ফ্রিজ। আমাদের ইনভার্টার ফ্রিজ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

উৎসবে চাঙ্গা ফ্রিজের বাজার

সজীব আহমেদ
সজীব আহমেদ
শেয়ার
উৎসবে চাঙ্গা ফ্রিজের বাজার

দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সহজ কিস্তিতে ক্রয়ের সুবিধা থাকায় দ্রুতগতিতে বড় হচ্ছে ফ্রিজের বাজার। দেশীয় কম্পানি ফ্রিজ উৎপাদন শুরু করায় পণ্যটির দামও ক্রেতার নাগালে রয়েছে অনেকটাই। ফলে শখের পরিবর্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে ফ্রিজ। সমাজের উচ্চ ও মধ্যবিত্তের পাশাপাশি বর্তমানে নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরেও জায়গা করে নিয়েছে রেফ্রিজারেটর।

বাংলাদেশে প্রায় দুই দশক ধরে ফ্রিজের বাজার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বর্তমানে এই বাজারে আধিপত্য দেশীয় কম্পানিগুলোর। দেশীয় কম্পানিগুলোর উৎপাদিত ফ্রিজ দিয়েই অভ্যন্তরীণ চাহিদার বেশির ভাগ অংশ মিটছে। একই সঙ্গে দেশে উৎপাদিত ফ্রিজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও হচ্ছে।

ফ্রিজ উৎপাদনকারী কম্পানি ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন বাসাবাড়িতে ফ্রিজ একটা আবশ্যিক পণ্যের নাম। দেশে গত এক যুগ আগে ফ্রিজের বার্ষিক চাহিদা ছিল ১০ লাখের মতো। বেড়ে এখন এর বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৩ থেকে ৩৫ লাখ। বর্তমানে দেশের চাহিদার প্রায় ৯৫ শতাংশই দেশে উৎপাদিত হচ্ছে, বাকি ৫ শতাংশ ফ্রিজ আমদানি হচ্ছে।

একসময় দেশে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি ব্র্যান্ডের দাপট ছিল। গত দেড় দশকে সরকারের নীতি সহায়তা, দেশীয় বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর বিনিয়োগের কারণে বর্তমানে ৮৫ শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর। বর্তমানে দেশি-বিদেশি ১৩টি কম্পানি দেশে ফ্রিজ উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। দেশে ফ্রিজের বাজার ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বছরে ১৫ শতাংশ হারে ফ্রিজের বাজারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

মাত্র কয়েক দিন পরই ঈদুল ফিতর। ঈদ ঘিরে বাজারে ফ্রিজের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। তবে ফ্রিজের বড় চাহিদা থাকে ঈদুর আজহা কেন্দ্র করে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবছর প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি ফ্রিজ দুই ঈদে বিক্রি হয়ে থাকে। তবে রোজার ঈদের তুলনায় কোরবানির ঈদে ফ্রিজের চাহিদাটা একটু বেশিই থাকে। কারণ মানুষ কোরবানির পশুর মাংস ভালোভাবে সংরক্ষণে ফ্রিজ কিনে থাকে।

উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারে একাধিক ফ্রিজের ব্যবহার রয়েছে। এর বাইরে হোটেল-রেস্টুরেন্ট, সুপার শপ, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, অফিসসহ প্রায় সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে একাধিক ফ্রিজ ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের প্রথম উদ্যোগ নেয় দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। তারপর একে একে যমুনা, মিনিস্টার, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ভিশন, ট্রান্সকম ও ওরিয়ন কারখানা স্থাপন করে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দেশে ফ্রিজ উৎপাদনের কারখানা গড়ে তুলেছে বিদেশি ব্র্যান্ড স্যামসাং, সিঙ্গার, ওয়ার্লপুল, কনকাসহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড।

২০২১ সালে প্রকাশিত মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশের (এমডব্লিউবি) এক গবেষণা বলছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত দেশের ফ্রিজের বাজার বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো নিয়ন্ত্রণ করত। বর্তমানে দেশে ফ্রিজের বাজারের বেশির ভাগই দেশীয় ব্র্যান্ডের দখলে। এর মধ্যে এককভাবে দেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটনের দখলে অনেকখানি অংশ। বাকিগুলো মিনিস্টার, ভিশন, যমুনা, মার্সেলসহ অন্যদের দখলে। আর বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে সিঙ্গার, স্যামসাং, কনকা, শার্প, এলজি উল্লেখযোগ্য। মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশের এক জরিপে বলা হয়, দেশি-বিদেশি মিলে মোট ফ্রিজের চাহিদার ৯৫ শতাংশই দেশে উৎপাদিত হয়। এর বাইরে বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি হয় ৫ শতাংশ।

ফ্রিজের বাজারে শীর্ষে থাকা ওয়ালটন ২০০৮ সালে ফ্রিজের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি ফ্রিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কম্প্রেসর উৎপাদন শুরু করে। দেশের পাশাপাশি রপ্তানি বাজারে ভালো অবস্থান তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর ওয়ালটন এক লাখের বেশি ফ্রিজ রপ্তানি করেছে।

এ বিষয়ে ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিনুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ঈদ সামনে রেখে অর্ধশতাধিক অত্যাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ বেশ কিছু নতুন মডেলের ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে এমএসও প্লাস (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি। গত অর্থবছরে প্রায় এক লাখ ইউনিট ফ্রিজ রপ্তানি করেছি আমরা। ২০২৬ সালের মধ্যে তিন লাখ ইউনিট ফ্রিজ রপ্তানির টার্গেট রয়েছে আমাদের।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, বর্তমানে ভিশন রেফ্রিজারেটরের তিন শতাধিক মডেল রয়েছে।

 

মন্তব্য

বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামায় মানিয়ে নিতে পারে স্মার্ট ফ্রিজ

বাণিজ্য ডেস্ক
বাণিজ্য ডেস্ক
শেয়ার
বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামায় মানিয়ে নিতে পারে স্মার্ট ফ্রিজ

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি খাতে গুরুত্ব পাচ্ছে পরিবেশ। তাই পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি খাবারের সতেজতা অক্ষুণ্ন রাখতে কম্পানিগুলো এখন নিয়ে আসছে স্মার্ট ফ্রিজ। দিন দিন এসব ফ্রিজের চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনি নতুন নতুন ফিচার ও প্রযুক্তিও যুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে ওয়ালটন, স্যামসাং, হিটাচি, ওয়ার্লপুল, ট্রান্সটেক, শার্প, এলজি, সিঙ্গার, ওরিয়ন, ভিশন, কনকা, যমুনা, ট্রান্সকমসহ বিভিন্ন কম্পানির স্মার্ট ফ্রিজ রয়েছে।

এসব ফ্রিজে ইকো ফ্রেন্ডলি ফিচার সংযোজনের কারণে পরিবেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ে না। সাধারণ ফ্রিজের দরজায় দুর্বল গ্লাস ব্যবহার করা হয়, যা রেফ্রিজারেটরকে সেভাবে সুরক্ষা দেয় না। কিন্তু স্মার্টের টেম্পারড গ্লাস অন্যান্য গ্লাসের চাইতে দৃঢ় ও টেকসই। স্মার্ট রেফ্রিজারেটর সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।
অনেক সময় বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামা করলে রেফ্রিজারেটরে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে আছে কম ভোল্টেজ অপারেশন সুবিধা, যা কম ভোল্টেজের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে মানিয়ে নেয়। স্মার্টের রেফ্রিজারেটর খুব দ্রুত ঠাণ্ডা হয়। কারণ এতে আছে ফাস্ট কুলিং সিস্টেম, যা খুব কম সময়ে খাবার ঠাণ্ডা করে ফেলে।
একই সঙ্গে এই ফ্রিজে রয়েছে ১০০ শতাংশ কপার কনডেন্সার সিস্টেম, যা খাবার সতেজ রাখবে। স্মার্ট ফ্রিজে থাকে ইনভার্টার প্রযুক্তি। এতে পাঁচটি মোড কাজ করে। নতুন এই প্রযুক্তির যন্ত্রে প্রয়োজনের সময় ডিপফ্রিজকে পুরোটাই সাধারণ ফ্রিজে রূপান্তর করে ব্যবহার করা যায়। কেউ বাসার বাইরে গেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য এনার্জি সেভিং মোড চালু করে রাখতে পারেন।
স্মার্ট ফ্রিজে যুক্ত হয়েছে টাচ প্রযুক্তি। কাচের দরজাযুক্ত এই ফ্রিজে দুইবার নক করলেই আলো জ্বলে উঠবে।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ