<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বছরের শুরুতে অর্থনীতি কেমন হবে এবং অর্থনৈতিক পূর্বাভাসই কী, সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন থিংকট্যাংক, পেশাদার সংস্থা এবং নামকরা সংবাদমাধ্যম কিছু প্রতিবেদন, মতামত এবং আলোচনা প্রকাশ করে থাকে। এ বছর সে রকম আলোচনা বা প্রতিবেদন খুব একটা দেখা যায়নি। আলোচনা বা প্রতিবেদন যে একেবারে প্রকাশিত হয়নি, তেমন নয়। কিন্তু সেগুলো একেবারেই অপর্যাপ্ত এবং কিছুটা দায়সারা গোছের। বিগত কয়েক বছর আগামী দিনের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি শুরুতেই যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তেমনটা এবার পরিলক্ষিত হয়নি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একমাত্র ব্যতিক্রম হচ্ছে প্যারিসভিত্তিক ওইসিডি (অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট), যারা গত নভেম্বর মাসে তাদের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে বিশ্বে প্রবৃদ্ধির হার কী হবে, তার একটি পূর্বাভাস থাকলেও মূলত উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর অর্থনীতি ২০২৫ সালে কেমন হতে পারে, সে ব্যাপারেই বেশি আলোচনা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর অর্থনীতি কী অবস্থায় আছে, তাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে এবং নতুন বছরে সেসব দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কেমন হতে পারে, সেগুলোই ছিল ওইসিডির প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য। সমগ্র বিশ্বে কী ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে, বিশেষ করে ইমার্জিং মার্কেটের দেশগুলো কী ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে পারে, সেসব বিষয় নিয়ে খুব বেশি বিস্তারিত আলোচনা দেখা যায়নি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নতুন বছরের শুরুতে এবার বিশ্বের সার্বিক অর্থনৈতিক গতি-প্রকৃতি নিয়ে যে বিস্তর আলোচনা হয়নি, তার যুক্তিসংগত কারণও আছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি চার বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া। অনেকেই ভাবতে পারে, ট্রাম্পের বিজয়লাভের সঙ্গে বিশ্বের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে আলোচনার কী সম্পর্ক থাকতে পারে। ট্রাম্প ব্যক্তি হিসেবে একজন ব্যবসায়ীবান্ধব এবং তাঁর দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থান সবার ওপরে, যা তিনি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> স্লোগানের মাধ্যমে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। তা ছাড়া ট্রাম্প এমন একজন ব্যক্তি, যাঁকে আগে থেকে একেবারেই বোঝার উপায় নেই যে তিনি কেমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="চলতি বছর অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি" height="319" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11. january/14-01-2025/77.jpg" style="float:left" width="321" />ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই স্পষ্ট করে বলে আসছেন যে যুক্তরাষ্ট্রে যারা পণ্য রপ্তানি করবে, তাদের ওপর উচ্চহারে শুল্ক ধার্য করবেন। প্রয়োজনে তিনি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ধার্য করতে কোনো রকম দ্বিধা করবেন না। এ রকম উচ্চহারের শুল্ক ধার্যের ক্ষেত্রে তিনি শত্রু-মিত্র বিচার করবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বাণিজ্য প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ চীনের বিরুদ্ধে তিনি যেমন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ধার্য করার হুমকি দিয়েছেন, তেমনি প্রতিবেশী ও মিত্র দেশ কানাডার ওপরও ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্যের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রশক্তি এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধেও অতি উচ্চহারে শুল্ক ধার্যের ঘোষণা দিতে কার্পণ্য করেননি। ট্রাম্পের এ রকম একতরফা উচ্চহারের শুল্ক ধার্যের ঘোষণার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নও কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রকম বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা যখন থাকে, তখন বিশ্বের অর্থনৈতিক গতি-প্রকৃতি নিয়ে কোনো রকম পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয় না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওইসিডি ২০২৫ সালের অর্থনীতি নিয়ে যে পূর্বাভাস দিয়েছে, সেখানে বিশ্বে প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে, যা তাদের আগের প্রতিবেদনে উল্লেখিত ৩.২ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। তার পরও এই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে কি না, তা বেশ কয়েকটি শর্তের ওপর নির্ভর করবে। শর্তগুলো হচ্ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. ট্রাম্পের ঘোষিত বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ না করা। ২. বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহ বা সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন না ঘটা। ৩. বিশ্বে ধনী দেশগুলোর যে মাত্রাতিরিক্ত বাণিজ্য ঘাটতি আছে, তার উন্নতি ঘটা। ৪. ধনী দেশগুলোর প্রয়োজনীয় আর্থিক নীতি বা ফিসক্যাল পলিসির প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন। ৫. বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি যদি পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী না হয়। এবং ৬. বেঞ্চমার্ক সুদের হার যদি বৃদ্ধি পেতে শুরু না করে। এত সব শর্ত পূরণের পর বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির হার ৩.৩ শতাংশ অর্জিত হবে কি না, তা বুঝতে হলে আমাদের আগামী কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। তবে বিশ্বে যে অবস্থা বিরাজ করছে, তা বিবেচনায় নিলে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি হবে বলে মনে হয় না। প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ বা তার একটু ওপরে থাকতে পারে এমন ধারণা মাথায় রেখেই বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো ইমার্জিং মার্কেটের দেশগুলোকে তাদের অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি বছর উন্নত বিশ্বে বেঞ্চমার্ক সুদের হার সেভাবে হ্রাস পাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশ; যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডা উল্লেখযোগ্য হারে তাদের নীতি সুদ হার হ্রাস করলেও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ তাদের নীতি সুদ হার বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হ্রাস করেনি। এখন অনেকেই আশঙ্কা করছে যে ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্কযুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি পুনরায় বেড়ে যেতে পারে। এমনটি হলে বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলোর সমস্যা থেকেই যাবে এবং সেসব দেশে দ্রব্যমূল্য কমানো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। যেসব দেশের রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর নির্ভরশীল, তাদের রপ্তানি বাণিজ্য প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে পারে, যদি বিশেষ কিছু পদক্ষেপ বা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলোচিত শুল্কযুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে যদি মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেতে থাকে, যার সমূহ সম্ভাবনা আছে এবং সেই ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ তাদের নীতি সুদ হার বৃদ্ধি করতে পারে। মূল্যস্ফীতি দেখা দিলে ফেডারেল রিজার্ভ যে এমনটি করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সে ক্ষেত্রে ট্রাম্প চাইলেই ফেডারেল রিজার্ভকে সুদের হার বৃদ্ধি করা থেকে বিরত রাখতে পারবেন না। ফেডারেল রিজার্ভ যুক্তরাষ্ট্রে একটি সর্বোচ্চ মাত্রার স্বাধীন সংস্থা। তদুপরি, ট্রাম্পের হাতে এমন কোনো অস্ত্রও নেই, যা দিয়ে ফেডের চেয়ারম্যানকে পরিবর্তন করবেন। ফলে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে ট্রাম্প যদি তাঁর ঘোষিত উচ্চ শুল্ক হার বাস্তবায়নে এগিয়ে যান, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে মূল্যস্ফীতি দেখা দিতে বাধ্য। আর এই মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হারও বেশি থাকবে, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা, ডলারকে হার্ড কারেন্সি (অতি চাহিদার মুদ্রা) হিসেবে ধরে রাখবে। এ বছর বিশ্বে ডলার সংকট কাটবে, তেমনটি আশা করা কষ্টকর। ফলে বাংলাদেশের মতো ডলারনির্ভর দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলার সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই চলতে হবে, যদি না বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নিজস্ব উদ্যোগে ডলার সংগ্রহের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উন্নত বিশ্বের দেশগুলো, যারা মূলত বাংলাদেশের মতো ইমার্জিং মার্কেটের দেশ থেকে আমদানি করে থাকে, তাদের মাত্রাতিরিক্ত বাণিজ্য ঘাটতি এবং অত্যধিক রাষ্ট্রীয় ঋণ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য এক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা উন্নত দেশগুলো তাদের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের জন্য রাজস্ব বৃদ্ধি এবং খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তার প্রভাব উন্নয়নশীল দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর পড়তে পারে। যদি সে রকম হয়, তাহলে উন্নয়নশীল বিশ্বের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন এবং রপ্তানিকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এ কারণেই উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অর্থনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে রাখতে হবে চলতি বছরের জন্য।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন করে যুদ্ধ বাধার মতো আরেক ধরনের উত্তেজনা। ট্রাম্পের বিজয়ের পর অনেকেই মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিল যে আগামী চার বছর বিশ্বে হয়তো নতুন করে যুদ্ধ বাধবে না। কেননা ট্রাম্প নিজে ব্যবসাবান্ধব ব্যক্তি এবং তিনি যুদ্ধ খুব একটা পছন্দ করেন না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ট্রাম্প এমন কিছু কথা বলেছেন, তাতে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েছে। ট্রাম্প প্রথমে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করে বসলেন। এর পরপরই তিনি ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ড এবং পানামা সরকারের কাছ থেকে পানামা ক্যানেলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। কানাডা নিয়ে তাঁর এমন মন্তব্য নেহাতই কথার কথা হলেও গ্রিনল্যান্ড ও পানামা ক্যানেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ। এ রকম কিছু যদি সত্যি ঘটে, তাহলে বিশ্বে চলমান যুদ্ধ থামার পরিবর্তে নতুন করে যুদ্ধ বেধে যাওয়া মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর এ রকম কিছু ঘটলে বিশ্বে অর্থনীতির সব হিসাব-নিকাশই ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব মিলিয়ে চলতি বছর বিশ্বে অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি যে খুব একটা মসৃণ হবে না, তা সহজেই অনুমেয়। বিষয়টি উন্নয়নশীল দেশের জন্য বেশি চ্যালেঞ্জের হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। এ কারণে বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তার বিষয়গুলো সক্রিয় বিবেচনায় রেখেই তাদের অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা এবং কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করা উচিত। বিশেষ করে বাজেট প্রণয়ন, বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং রাষ্ট্রীয় ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশ্ব অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। শুধু তা-ই নয়, কিছু কৌশলী পদক্ষেপ নিয়ে রাখতে পারলে এ রকম অনিশ্চয়তার মধ্যে সুবিধাও লাভ করা অসম্ভব কিছু না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : সার্টিফায়েড অ্যান্টি মানি লন্ডারিং স্পেশালিস্ট ও ব্যাংকার, টরন্টো, কানাডা </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">nironjankumar_roy@yahoo.com</span></span></span></span></p> <p> </p>