<p>শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, নবম শ্রেণি থেকে আবারও বিষয়ভিত্তিক অর্থাৎ মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগ আলাদা থাকবে। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।</p> <p>তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তকের মলাটসহ ভেতরের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করা হবে। শিক্ষাক্রম সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে। যতটুকু সময় পাওয়া যায় আমরা এই শিক্ষাক্রম সংস্কারে পদক্ষেপ নেব।’</p> <p>১৯৫৯ সালে নবম শ্রেণি থেকে বিভাগ বিভাজন চালু হয়েছিল। ৬৫ বছর ধরে এ নিয়মে চলেছে শিক্ষা পদ্ধতি। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর দফায় দফায় শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হলেও এ প্রথা কখনো ভাঙা হয়নি। অবশেষে চলতি বছর তা পরিবর্তন করা হয়। ৬৫ বছর পর চলতি শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সবাই একই বিষয় পড়ছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার বিভাজন নেই। সবার এক বইয়ে লেখাপড়া করছে।</p> <p>নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর পক্ষে-বিপক্ষে মত দেন অনেকে। অনেকে বিভাগ বিভাজনের বিপক্ষে মত দিলেও আবার কেউ কেউ একমুখী পদ্ধতিকে ভালো বলছেন।</p> <p>এবার বই ছাপাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি হবে না জানিয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতোমধ্যে যেসব বই ছাপার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, তা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার বই ছাপার মান ও কাগজের মান ভালো হবে। কারণ এবার দুর্নীতি হবে না।’</p> <p>ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তকের মলাটসহ ভেতরের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করা হবে। শিক্ষাক্রম সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে। যতটুকু সময় পাওয়া যায় আমরা এই শিক্ষাক্রম সংস্কারে পদক্ষেপ নেব।’</p>