<p>দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ ভূগর্ভস্থ ২ কিলোমিটার (১.২ মাইল) এরও বেশি দূরে অবস্থিত সেই পরিত্যাক্ত সোনার খনি থেকে কমপক্ষে ৬০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। যেখানে এখনও অজানা সংখ্যক লোক আটকা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অবৈধ খনির বিরুদ্ধে অভিযানের পর এই ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে।</p> <p>জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার (৯০ মাইল) দূরে স্টিলফন্টেইন শহরের অবৈধ খনি বন্ধে গত আগস্ট মাসে  অভিযান শুরু হয়। অভিযান শুরু হওয়ার পরে খনি শ্রমিকরা সেখানেই থেকেই অবৈধভাবে খনিতে খনন কাজ চালিয়ে চাচ্ছিলেন। এরপর কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের খাদ্য, পানি ও অন্যান্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, যাতে তাদের খনি থেকে বের করে গ্রেপ্তার করা যায়। কিন্তু এতে দীর্ঘ অচলাবস্থা শুরু হয় এবং এর ফলেই ঘটে ভয়াবহ ঘটনা।</p> <p>পরিত্যক্ত ওই সোনার খনিতে আটকা পড়া অনেক শ্রমিকের মধ্যে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। এর পরেই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। খনি শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা মাইনিং অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিস ইউনাইটেড ইন অ্যাকশন (ম্যাকুয়া) এ তথ্য জানায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে মৃতদেহের ছড়াছড়ি, ভিডিও প্রকাশ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/14/1736836562-794cdb9c73f8c687c66ee249c67e263a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে মৃতদেহের ছড়াছড়ি, ভিডিও প্রকাশ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2025/01/14/1468530" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গত সোমবার কর্তৃপক্ষ একটি ধাতব খাঁচা ব্যবহার করে খনি থেকে মানুষ ও মৃতদেহ উদ্ধার শুরু করে। এই উদ্ধার অভিযান কয়েকদিন ধরে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।</p> <p>দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ সদস্য সেনজো বলেছেন, ‘ আমরা এখন খনিতে আটকা পড়াদের উদ্ধারে মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা ঠিক জানি না সেখানে কতজন লোক আছে। শ্রমিকরা যখন ভূগর্ভস্থ এই খনিতে ঢুকেছিল তখন গণনা করা হয়নি, ঠিক কতজন শ্রমিক সেখানে ঢুকেছিল।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘কখন নাগাদ সকল খনি শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবে তা বলা কঠিন।’</p> <p>এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৫১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগের দিন নয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার খনি থেকে উদ্ধার হওয়া ১০৬ জন জীবিত ব্যক্তিকে অবৈধ খনিতে খনন কাজ চালানোর জেরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার এসব অবৈধ খনির বিরুদ্ধে লাড়াই করে যাচ্ছে। যার ফলে সরকার এবং এ শিল্পকে বছরে কয়েকশ মিলিয়ন ডলার বিক্রয় কর এবং রয়্যালটি হারাতে হয়। একটি খনি শিল্প সংস্থার হিসাবে এই তথ্য উঠে এসেছে।</p> <p>সাধারণত কম্পানিগুলো পরিত্যক্ত খনিতে খনন কাজ চালায় না। কারণ, সেগুলো আর বৃহৎ পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর থাকে না। কিন্তু স্থানীয়ভাবে লাইসেন্সবিহীন খনি শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যাক্ত খনিতে যা কিছু অবশিষ্ট থাকে তা উত্তোলন করতে যায়।</p> <p>দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলেছে, অবৈধ খনির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য স্টিলফন্টেইন খনি অবরোধ করা জরুরি ছিল। যাকে খনিমন্ত্রী ‘গুয়েডে মানতাশে (অর্থনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ)’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে বাসিন্দা এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলো এই অভিযানের অভিযানের সমালোচনা করেছে।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>