<p style="text-align:justify">করোনাকালীন কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছিল। মো. শাহ আলম (৩৫) প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করতেন। হঠাৎ একদিন তারও চাকরি চলে যায়। ফলে বেকার হয়ে পড়েন তিনি। এমতাবস্থায় বাসায় বসে বসে ইউটিউবে মৌমাছি চাষ করার ভিডিও দেখতে থাকেন শাহ আলম।</p> <p style="text-align:justify">এক পর্যায়ে মৌমাছি চাষে আগ্রহ জাগে তার। তখন তিনি সরকারিভাবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) থেকে কৃত্রিমভাবে মৌমাছি চাষের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরে ২৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে পাঁচটি বক্স দিয়ে মৌমাছি চাষ শুরু করেন। এখন তিনি একজন সফল মৌ খামারি। </p> <p style="text-align:justify">শাহ আলম নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার সাউথা ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন মৌসুমে মৌ-বাক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করেন। সেই মধু বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণউড়া গ্রামের কয়েক শ' বিঘা জমিতে ফুটেছে সরিষার ফুল। চারদিকে শুধু হলুদ ফুলের সমারোহ। সেই ফুলে মৌমাছি ছেড়ে দিয়ে শাহ আলম সংগ্রহ করছেন মধু।</p> <p style="text-align:justify">শাহ আলম জানান, এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি নেন। কিন্তু সেখানে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। </p> <p style="text-align:justify">তিনি জানান, বর্তমানে তার মৌমাছি খামারে ৮ লাখ টাকার মতো পুঁজি আছে। সেখানে চারজন নিয়মিত কর্মরত আছেন। তার বর্তমানে ১০০ টি মৌ-বাক্স আছে। তা থেকে প্রতি সপ্তাহে তিনি ৩০০-৪০০ কেজি মধু সংগ্রহ করেন। বছরে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মধু বিক্রি করেন তিনি। মৌমাছির খাবার ও অন্যান্য খরচ বাদে ৪-৫ লাখ টাকা লাভ হয় তার।</p> <p style="text-align:justify">উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মাসুদ তুষার বলেন, মৌ চাষে প্রান্তিক চাষি ও বেকার যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। হাওরাঞ্চলে এ বছর ৬৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা ফুল থেকে মৌমাছি মধু আহরণ করলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কম লাগে। এছাড়াও সরিষাতে বাড়তি ফলন হয়।</p>