<p style="text-align:justify">নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওন আহম্মেদকে গুলি করে হত্যা মামলায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাবেক এসআই মাহফুজুর রহমান কনকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। </p> <p style="text-align:justify">সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুমের আদালতে কনককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।</p> <p style="text-align:justify">নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। </p> <p style="text-align:justify">এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাওন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ডিবির সাবেক এসআই মাহফুজুর রহমান কনককে বর্তমান কর্মস্থল ঢাকা এয়ারপোর্টস্থ ১৩ এপিবিএন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে তৎকালীন ডিসি, এসপিদের নির্দেশে পুলিশ বেপরোয়া গুলি চালিয়ে ৩ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী, পথচারীদের আহত করে। সেদিন পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন নিহত হয়। পুলিশ গুলি চালিয়ে শাওনকে হত্যা করলেও মামলায় বিএনপির ৫ হাজার নেতাকর্মীদের আসামি করেছিল।</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পট পরিবর্তনের পরে শাওন হত্যা মামলা দায়ের হলে সেই মামলায় অন্যতম আসামি ডিবির সাবেক এসআই কনককে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।</p> <p style="text-align:justify">উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর দলীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলিতে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তৎকালীন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান কনকের হাতে থাকা 'চাইনিজ রাইফেল' থেকে ছোড়া গুলি যুবদল কর্মী শাওনের শরীরে বিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।</p> <p style="text-align:justify">ওই ঘটনার ২ বছর পরে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর নিহত শাওনের বড় ভাই মো. মিলন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্যসহ (এমপি) ৫২ জনকে।</p>