পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে আলু রপ্তানি আশা জাগাচ্ছে। কিছুদিন ধরে নিয়মিত নেপালে রপ্তানি হচ্ছে আলু। গত এক মাসে এই স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে আলু রপ্তানি হয়েছে অন্তত ১৩৪৪ টন।
রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের আলু পাঠানো হচ্ছে।
রপ্তানি অব্যাহত থাকলে আলুর লোকসান কমে আসবে বলে জানান চাষিরা।
কৃষি বিভাগের হিসাবে এবার জেলায় আলুর আবাদ বেড়েছে অন্তত ৫ হাজার হেক্টর জমিতে। গেল বছর প্রান্তিক এ জনপদের পাঁচ উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছিল ৯ হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে। এ বছর আলু আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে।
অন্যদিকে উৎপাদন খরচও হয়েছে দ্বিগুণ। কিন্তু ৮০ টাকা কেজি দরে বীজ কিনে আলু রোপণ করে এখন বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকায়। এ ছাড়া হিমাগারে জায়গা না থাকায় আলু সংরক্ষণেরও সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। তাই বড় অঙ্কের লোকসানের হিসেব কষতে যখন হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা তখন পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপলে আলু রপ্তানি জাগাচ্ছে আশা।
গত এক মাস ধরে নিয়মিত নেপালে পাঠানো হচ্ছে এ অঞ্চলের উৎপাদিত আলু। গত বৃহস্পতিবার ১০৫ টন আলু রপ্তানি হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট আলু রপ্তানি হয়েছে ১৩৪৪ টন।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আলু চাষী মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘রপ্তানি না করলে আমাদের কৃষকদের পথে বসতে হবে। বাজারে আলুর যে দর চলছে ভয়ে আলু এখনো তুলিনি।
সংরক্ষণেরও উপায় নেই। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাব যেন আলু রপ্তানি অব্যাহত রাখা হয়।’
বাংলাবান্ধা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘এখন বাংলাবান্ধা দিয়ে নিয়মিত আলু রপ্তানি হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আসছে, তেমনি কৃষকরাও ভালো দাম পাবেন বলে আমরা আশা করছি।’
পঞ্চগড় কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মুআল্লেমা খানম বলেন, ‘এবার অনেক বেশি আলু আবাদ হয়েছে। তাই বাজারে দামও কম। এ ছাড়া পঞ্চগড়ের ৮টি হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫৪ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু আলু উৎপাদন হয়েছে তার চেয়ে ৬ থেকে ৭ গুণ বেশি। তবে আলু রপ্তানি শুরু হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।’