ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

‘লাড়া দে, কোপাইয়া দে’সহ ঢাকায় অপরাধের শীর্ষে যেসব গ্যাং

রেজোয়ান বিশ্বাস
রেজোয়ান বিশ্বাস
শেয়ার
‘লাড়া দে, কোপাইয়া দে’সহ ঢাকায় অপরাধের শীর্ষে যেসব গ্যাং
প্রতীকী ছবি

দেশে চলমান বিশেষ অভিযানের (অপারেশন ডেভিল হান্ট) মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ে নৃশংসতার অনেক অভিযোগ দেশের বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে কিশোর-তরুণ গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। তাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর।

পুলিশ বলছে, সম্প্রতি দেশজুড়ে নতুন কৌশলে কিশোর-তরুণ গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে। প্রতিদিনই তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে অভিযোগ উঠছে।

খোদ পুলিশের ওপরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে তারা।

গত বছরের এপ্রিলের আগে রাজধানীতে অন্তত ১২৭ কিশোর-তরুণ গ্যাং সক্রিয় ছিল। সারা দেশে ছিল ২২৭টি গ্যাং। এসব গ্যাংয়ের সদস্য ছিল দুই হাজারের বেশি।

দেশের প্রতিটি থানায় তাদের তালিকা ছিল। তবে গত ৫ আগস্টের আগে ও পরে দেশের বেশির ভাগ থানা ধ্বংস হওয়ায় সেই তালিকাও ধ্বংস হয়েছে। এর ফলে এখন নতুন করে কিশোর-তরুণ গ্যাংয়ের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

থানা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সময় বদলালেও পাল্টায়নি কিশোর-তরুণদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।

বিগত সরকারের সময়ে তাদের সে সময়ের ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে শুরু করে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা শেল্টার দিতেন। বর্তমানে তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে সমাজে নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়া কিছু উঠতি সন্ত্রাসী। এ ছাড়া রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় জামিনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও এখন কিশোর গ্যাংকে শেল্টার দিচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তালিকা অনুযায়ী, বরাবরই উত্তরা এলাকায় কিশোর-তরুণ গ্যাং সদস্য বেশি। এই এলাকার গ্যাংগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইন এমএম বয়েজ, নাইন স্টার, পাওয়ার বয়েজ, বিল বস, সুজন ফাইটার, ক্যাসল বয়েজ, আলতাফ জিরো, ভাইপার ও তুফান; মিরপুর এলাকায় বিচ্ছু বাহিনী, সুমন গ্যাং, বিহারি রাসেল, পিচ্চি বাবু, সাইফুল গ্যাং, বাবু রাজন, রিপন গ্যাং, সাব্বির গ্যাং, নয়ন গ্যাং ও মোবারক গ্যাং; ধানমণ্ডিতে একে ৪৭, নাইন এমএম ও ফাইভ স্টার বন্ড; বংশালে রয়েছে জুম্মন গ্যাং; তেজগাঁওয়ে মাঈনুদ্দিন গ্যাং; মুগদায় চান জাদু, ডেভিড কিং ফল পার্টি, ভলিয়ম টু ও ভাণ্ডারী; পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, কলতাবাজার, পানিটোলা, লালকুঠি, শ্যামবাজার, ইসলামপুর, বাবুবাজারসহ সদরঘাটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফেরদৌস গ্রুপ, সাজু গ্রুপ, সিনিয়র গ্রুপ, জুনিয়র গ্রুপ, টাইগার গ্রুপ, চিতা গ্রুপ।

এ ছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডাইল্লা গ্রুপ, এলেক্স গ্রুপ, ইমন গ্রুপ, আনোয়ার ওরফে শ্যুটার আনোয়ার গ্রুপ, আকাশ গ্রুপ, দ্য কিং অব লও ঠেলা গ্রুপ, ডায়মন্ড গ্রুপ, আই ডোন্ট কেয়ার (আইডিসি) গ্রুপ, মুরগি গ্রুপ, সাব্বির গ্রুপ, শাওন গ্রুপ, ফিল্ম ঝিরঝির গ্রুপ, স্টার বন্ড গ্রুপ, গ্রুপ টোয়েন্টি ফাইভ, লাড়া দে, লেভেল হাই, দেখে ল-চিনে ল ও কোপাইয়া দে গ্রুপ।

এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, কিশোর-তরুণ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে দেশজুড়ে পুলিশ সক্রিয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর কালের কণ্ঠকে বলেন, কিশোর-তরুণ গ্যাং নিয়ন্ত্রণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

আরো পড়ুন
ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ১২ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত

ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ১২ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত

 

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস বলেন, বরাবরের মতোই র‌্যাবের সব ইউনিট দেশে কিশোর-তরুণ গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বংশালে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, ৬ জন দগ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বংশালে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, ৬ জন দগ্ধ
ফাইল ছবি

রাজধানীর বংশালের বাংলাদেশ মাঠ এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধরা হলেন- রিমঝিম (১৬), মেহেদী হাসান (২৫), সাগর (২৫), ইকবাল (৩৩), নয়ন (২৯) ও অপূর্ব (১৮)।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বংশাল থেকে দগ্ধ অবস্থায় ৬ জনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

এদের মধ্যে সাগরের শরীরের ১১ শতাংশ, নয়নের সাত শতাংশ, ইকবালের দুই শতাংশ, মেহেদীর শরীরের এক শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, অপূর্বর এক শতাংশ ফেস বার্ন ও রিমঝিমের বার্ন ইনজুরি রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দগ্ধদের মধ্যে সাগরকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। বাকিদের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

ঈদের দিনেও কর্মব্যস্ত ঢাকা মেডিক্যাল, পরিদর্শনে স্বাস্থ্যের ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদের দিনেও কর্মব্যস্ত ঢাকা মেডিক্যাল, পরিদর্শনে স্বাস্থ্যের ডিজি
ছবি : কালের কণ্ঠ

ঈদের দিনেও কর্মব্যস্ত ছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এদিন হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। 

জানা যায়, দেশসেরা এই হাসপাতালে ঈদের দিনেও দুই হাজারের অধিক রোগী ভর্তি রয়েছেন। জরুরি বিভাগের পাশাপাশি অন্তর্বিভাগগুলোও খোলা রয়েছে।

জরুরি অপারেশনও থেমে নেই। ঈদ উপলক্ষে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে সোমবার সকালে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন ও পরিবেশিত খাবারসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

পরে এ তথ্য জানান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান। 

আরো পড়ুন
ভবন থেকে পড়ে তরুণীর মৃত্যু, চিরকুট ও ডায়েরিতে রহস্য

ভবন থেকে পড়ে তরুণীর মৃত্যু, চিরকুট ও ডায়েরিতে রহস্য

 

তিনি বলেন, আমরা ঈদের দিনেও রোগীদের পাশে আছি। আমাদের চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ঈদের দিনে জরুরি বিভাগ এবং অন্তর্বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

হাসপাতালের উপপরিচালক ডাক্তার মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই আমরা হাসপাতালে এসেছি। ঢাকা মেডিক্যাল এদেশের মানুষের কাছে চিকিৎসার শেষ ভরসার জায়গা। স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু কমলেও ঈদের দিনেও এখানে দুই হাজারের বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। রোগীদের জানাতে চাই আমরা সব সময়ই তাদের পাশে আছি। ছুটির দিনেও পরিবার-পরিজন রেখে স্বাস্থ্যসেবার কাজে নিয়োজিত থাকা চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই।

হাসপাতাল পরিদর্শনে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিনের সদস্য সচিব ডাক্তার জাকারিয়া আল আজিজ এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাহমুদুর রহমান নোমানসহ আরো অনেকেই উপস্থিত থেকে সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

ঈদ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

সোমবার (৩১ মার্চ) রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ বাহারুল আলম বিপিএম, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পুলিশ সদস্যদের মেস পরিদর্শন করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।

নিজেদের ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে জনগণের ঈদ আনন্দ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

মন্তব্য

ঈদের ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা
সংগৃহীত ছবি

ঈদে ঢাকা ছেড়েছেন বহু মানুষ। গ্রামে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গেল কয়েক দিন ছিল বাস কাউন্টার, রেল স্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে উপচে পড়া ভিড়। তবে সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীর সড়কগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। চিরাচরিত সেই ব্যস্ততা ও গণপরিবহনের ভিড় ছিল না।

দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের চলাচল রয়েছে। যাত্রীদের চাপও দেখা গেছে কম।

দুপুরে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচলও তুলনামূলক কম দেখা গেছে।

মাঝেমধ্যে ছোট পিকআপ ও অটোরিকশায় গানবাজনার মাধ্যমে কিশোরদের ঈদ উদযাপন করতেও দেখা যাচ্ছে।

দুপুর ৩টার দিকে মিরপুর, বনানী, মহাখালী, বিজয়সরণি, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে রাস্তা অনেকটা ফাঁকা দেখা যায়।

ঈদের দিনে ঢাকার ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া হয়ে চলতে দেখা গেছে বাইকারদের। দিনভরই বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়াভাবে গতির ঝড় তুলতে দেখা গেছে অনেককে।

তবে সকালের দিকে সড়কে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। ঈদের নামাজের জন্য অনেকেই বের হয়েছিলেন। আবার বিকেলের দিকেও মানুষের ভিড় দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ