<p>দৈনন্দিন জীবনে আমাদের নানা রকম দ্রব্য ব্যবহার করতে হয়। এগুলো যেমন আমাদের জীবনযাপনকে সহজ করে তোলে। তাবে এসব যন্ত্রের যত্নও নিতে হবে, এদের অযত্নও ডেকে আনতে পারে বড় রকমের বিপদ। এবার জানা যাক গৃহস্থালির সরঞ্জামের যত্ন নেবেন কিভাবে। সঠিক যত্নের অভাবে এসব যন্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে। </p> <p>১. রান্না ঘরের এক্সস্ট ফ্যান প্রতি মাসে অন্তত একবার পরিষ্কার করা উচিত। তেল শোষণকারী চিমনি পরিষ্কারের আগে তেল সংগ্রহের ট্রে ও চিমনি খুলে নিন। তেল ফেলে দিয়ে টিস্যু বা কাপড় দিয়ে চিমনি মুছে নিন। ট্রে একটি বড় স্টিলের পাত্রে রেখে এর ওপর ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিন। এতে দুই চা চামচ ডিটারজেন্ট বা কাপড় ধোয়ার সোডা, এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা, একটি বড় লেবুর রস মিশিয়ে দিন। পাত্রটি মৃদু আঁচে চুলার ওপর রেখে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এই মিশ্রণের কিছু অংশ নিয়ে নরম স্ক্রাবার দিয়ে চিমনির বাকি অংশগুলো ও এক্সস্ট ফ্যানের পাখাগুলো পরিষ্কার করুন। ১০ মিনিট হয়ে গেলে চিমনি ও ট্রে নরম স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।</p> <p>২.  ব্লেন্ডারের ব্যবহারের পর ওভাবেই রেখে দিলে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে যন্ত্রটি। প্রতিবার ব্যবহারের পর হালকা গরম পানি ও লিকুইড সাবান নিয়ে নরম স্ক্রাবার দিয়ে ব্লেন্ডারের জারগুলোর ভেতরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে। নিচে যেন পানি না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিচে বৈদ্যুতিক সংযোগের অংশে পানি লেগে থাকলে ব্যবহারের সময় শর্ট সার্কিট হতে পারে। </p> <p>৩. ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের ম্যানুয়ালের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজন ভেদে ঘরের কোণের জন্য সরুমুখী, কার্পেটের জন্য ব্রাশযুক্ত ক্লিনারের অ্যাটাচ অংশটি ব্যবহার করতে হয়। ব্যবহারের পর বৈদ্যুতিক অংশগুলো ব্রাশ দিয়ে ও বাকি অংশগুলো খুলে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। ক্লিনারটি টেকসই করতে ডাস্টব্যাগ ভরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করুন। একইভাবে বৈদ্যুতিক ঘূর্ণন স্ক্রাবার পরিষ্কার করতে ঘূর্ণন অংশটি খুলে সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।</p> <p>৪. রাইস কুকারের একটিতে ভাত ও অন্যটিতে তরকারি, ডাল, খিচুড়িসহ আরো অনেক কিছুই রান্না করা যায়। পণ্যটি দীর্ঘ মেয়াদে টিকিয়ে রাখতে প্রতিবার রান্নার পর নরম কাপড় পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে ভাতের মাড় পরিষ্কার করতে হবে। তরকারির ঝোল পরিষ্কার করতে গরম পানির সঙ্গে লিকুইড বা বার সাবান মিশিয়ে নরম স্কাবার দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়। </p> <p>৫. <span style="font-size:1.25rem">নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ফ্রিজে সংরক্ষিত খাদ্য হতে পারে নানা রোগের কারণ। প্রতি মাসেই ফ্রিজের ডিপ অংশের ট্রে ও বক্সগুলো সাবান পানি, ডিটারজেন্ট, গ্লাস ক্লিনার বা গরম পানি ও বেকিং সোডার মিশ্রণ ও নরম স্ক্রাবার দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। ফ্রিজের নরমাল অংশ পরিষ্কার করতে হবে সাত দিন অন্তর। ফ্রিজের কমপ্রেসারের ক্ষমতা ঠিক রাখতে নিচের ধুলাবালিও পরিষ্কার রাখতে হবে।</span></p> <p>৬. কাপড় ধোয়ার কাজ সহজ করে দেয় ওয়াশিং মেশিন। মেশিনের ড্রামের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী কাপড় দিন। সঙ্গে পরিমিত পরিমাণ ভালো মানের ডিটারজেন্ট। কাপড়ের বোতাম, হুক, চেইন ও অন্যান্য ধাতব অংশগুলো লাগিয়ে নিন। পকেটে পয়সা, কলম বা কিছু আছে কি না দেখে নিন। ধোয়া হয়ে গেলে কাপড় বের করে মেশিনের দরজা খোলা রেখে গরম হাওয়া বের করে দিন। ওয়াশিং মেশিন প্রতি মাসে একবার পরিষ্কার করলে ভালো থাকে। দরজার ভেতরে রাবারের সিল সাত দিন অন্তর পরিষ্কার করতে হবে।</p> <p>নিচের ড্রেইন পরিষ্কার করতে হয় তিন মাস অন্তর। ফিল্টার, চেম্বার, ডিসপেন্সার কম্পার্টমেন্ট, ড্রাম প্রতি মাসে একবার হালকা সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। ড্রামের ভেতরের দুর্গন্ধ দূর করতে মাঝেমধ্যে বেকিং সোডা দিয়ে হট সাইকেলে মেশিন চালান। বাইরের সৌন্দর্য ঠিক রাখতে অবশ্যই মেশিনের ওপরে কাভার দিয়ে রাখতে হবে।</p> <p> </p> <p> </p> <p><br />  </p>