<p>ত্বক হোক বা চুল—রূপচর্চায় নারকেল তেলের বিকল্প এখনো হয়ে ওঠেনি। নারকেল তেলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এগুলো ত্বক ও চুল উভয়ের জন্যই ভালো। ক্ষতিগ্রস্ত চুল হোক বা ত্বক, নারকেল তেল মাখলে উপকার পাবেন। এই তেল যদি ঘরেই তৈরি করা যায়, তাহলে গুণগত মান নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে না।</p> <p><strong>জ্বাল দিয়ে তেল তৈরির পদ্ধতি</strong></p> <p>৪ কাপ পানি একটি পাত্রে নিয়ে বাষ্প ওঠা পর্যন্ত গরম করুন। এবার দুটি নারকেল কুরিয়ে তার সঙ্গে গরম পানি ব্লেন্ডারে মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ডারে গরম পানি ঢালার সময় খেয়াল রাখুন পাত্রটি যেন ভরে না যায়। ব্লেন্ড হয়ে গেলে মিহি ছাঁকনি বা কাপড় দিয়ে নারকেলের দুধ ছেঁকে নিন। </p> <p>এবার এই নারকেলের তরল চুলায় দিয়ে মাঝারি আঁচে সিদ্ধ করুন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। ঘণ্টাখানেক এভাবে জ্বাল দিন। ক্রিমের অংশ বাদামি হয়ে আসবে। চাইলে জ্বাল না দিয়েও থিতিয়ে এলে তেল ও ক্রিম আলাদা করতে পারেন। </p> <p>নারকেলের তরল একটা পাত্রে ঢেলে প্লাস্টিক র্যাপ দিয়ে মুখটা মুড়িয়ে ২৪ ঘণ্টা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিন। মিশ্রণটা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা হলে তেল জমাট বেঁধে ওপরে ভেসে উঠবে। এবার তরল থেকে ছেঁকে তেল আলাদা করে নিন। নিচে পড়ে থাকা নারকেলের দুধের সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। </p> <p><strong>ওয়েট মিল পদ্ধতি</strong></p> <p>প্রথমে একটি পাকা বাদামি নারকেল নিন। ধারালো ছুরি দিয়ে দুই ভাগ করে নিন। নারকেলের শাঁসটি খোসা থেকে আলাদা করুন। নারকেল কোরানোর সরঞ্জাম বা বাটার নাইফ ব্যবহার করলে সুবিধা হবে। সাবধানে কাজ করুন, যাতে হাত না কাটে। এবার নারকেলের শাঁসটি ছোট ছোট টুকরা করে নিন বা কোরানো করে নিন।</p> <p>ব্লেন্ডারে এই নারকেলের টুকরাগুলো দিয়ে ব্লেন্ড করুন। প্রয়োজনে সামান্য পানি মেশাতে পারেন। একটি কফি ফিল্টার বা পরিষ্কার সুতি কাপড় দিয়ে নারকেলের মিশ্রণ ছেঁকে দুধ বের করে নিন। যতটা সম্ভব চাপ দিয়ে প্রতিটি ফোঁটা বের করুন। এবার বাটিটি ২৪ ঘণ্টা আলাদা করে রেখে দিন। নারকেলের দুধ আর তেল আলাদা হয়ে ওপরের দিকে জমা হবে। ঠাণ্ডা রাখতে চাইলে ফ্রিজেও রাখতে পারেন। পরদিন চামচ দিয়ে ওপরের জমা অংশটুকু আলাদা করে ফেলুন। নিচে থাকবে খাঁটি নারকেল তেল।</p> <p>তথ্যসূত্র : উইকিহাউ, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেজার্ট এনলাইটমেন্ট<br />  </p>