<p>অ্যামিবা (Amoeba) এককোষী মুক্তজীবী প্রাণী। এটি অ্যামিবোজোয়া পর্বের অ্যামিবিডা পরিবারের একটি গণ বিশেষ। অ্যামিবার কোষপ্রাচীর নেই। তবে প্রোটোপ্লাজমে নিউক্লিয়াস আছে। এর সঞ্চিত খাদ্য স্টার্চ নয়।</p> <p><img alt="" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Print Version Online/print /2021/08.August/02-08-2021/Kk-21'08'02-3.jpg" style="float:left; height:69px; margin:10px; width:200px" />১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দে জার্মান চিত্রকর ও প্রকৃতিবিদ অগস্ট জোহান রোসেল ভন রোসেনহফ গ্রিক পুরাণের বহুরুপী সমুদ্র দেবতা প্রোটিয়াসের রূপের বর্ণনা দেন। রোসেলের বর্ণনায় সমুদ্র দেবতার এ রূপের সঙ্গে বর্তমান যুগে পরিচিত অ্যামিবার প্রোটিয়াস প্রজাতির অনেক মিল পাওয়া যায়।</p> <p>১৭৫৮ খ্রিস্টাব্দে রোসেলের বর্ণিত ‘দের ক্লেইন প্রোটিয়াস’কে কার্ল লিনিয়াস তাঁর নিজের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতিতে ক্যাওস ক্যাওস নাম দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেন। পরবর্তীকালে ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে বোরি দে সেন্ট-ভিনসেন্ট এই প্রাণীর নাম রাখেন আমিবা (Amiba)। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে জার্মান প্রকৃতিবিদ ক্রিশ্চিয়ান গটফ্রেইড তাঁর নিজের তৈরী আণুবীক্ষণিক জীবের শ্রেণিবিন্যাসে অ্যামিবাকে অন্তর্ভুক্ত করেন; কিন্তু বানান পরিবর্তন করে Amoeba (অ্যামিবা) রাখেন।</p> <p>আণুবীক্ষণিক প্রাণী অ্যামিবা সিউডোপড নামক অস্থায়ী অঙ্গ তৈরি করে চলাফেরা ও খাদ্যের সন্ধান করে। সিউডোপড ক্রমাগত প্রসারিত ও সংকুচিত হয় বলে অ্যামিবার আকার খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল। ভাসমান অবস্থায় অ্যামিবা অনেক সিউডোপড একসঙ্গে তৈরি করলেও কঠিন ভূমির ওপর চলার সময় একটিমাত্র সিউডোপড চলনের দিকে তৈরি হয়।</p> <p>অ্যামিবা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীব ও জৈব পদার্থ এবং পিনোসাইটোসিস পদ্ধতিতে ভেসিকল তৈরি করে দ্রবীভূত পদার্থ গ্রহণ করে। এই সব খাদ্যকণা ভ্যাকুওল নামক অঙ্গাণুতে জমা হয়। অ্যামিবা এককোষী প্রাণী হলেও একটি মাত্র কোষ দিয়ে এটি যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে থাকে। অর্থাৎ এক কোষ দিয়েই এটি রেচন, পুষ্টি, বৃদ্ধি, উদ্দীপনা, প্রজনন প্রভৃতি জৈবিক কার্য সম্পন্ন হয়। এটি অযৌন প্রক্রিয়ায় বংশ বৃদ্ধি করে। অযৌন প্রক্রিয়ার অন্যতম দ্বি-বিভাজন প্রক্রিয়া।</p> <p> </p> <p>              ►   ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল</p>