<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের কৃষক কাশেম মিয়া (৪২)। খেটে খাওয়া এই মানুষটি কখনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। অথচ একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা মাসুদ মিয়া কৃষক কাশেম ও তাঁর ছোট ভাই কলা ব্যবসায়ী আবুল হোসেনকে (৩৭) ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলার আসামির তালিকায় ঢুকিয়ে দেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত বছর ১ অক্টোবর দিলালপুর ইউনিয়নের লোকমান মিয়া নামের এক যুবক বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটিতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। কৃষক কাশেম ও তাঁর ছোট ভাই আবুল হোসেন মামলার এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার ধারেকাছেও ছিলেন না। আর মামলার বাদী যেমন এই দুই আসামিকে চেনেন না, আসামিরাও বাদীকে চেনেন না। অথচ তিন মাসের বেশি সময় ধরে তাঁরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়িঘরছাড়া। যাঁরা রাজনীতি কিংবা হত্যা-হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার ধারে-কাছেও ছিলেন না, তাঁদেরও আসামি করায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত বছর ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন থানায় এভাবে অনেক ভুয়া মামলায় গ্রামের নিরীহ ও সাধারণ মানুষের নাম ঢুকিয়ে দেওয়ায় এই মানুষগুলো বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><strong><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলার ৩৬ আসামি লালমনিরহাটের  </span></span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত বছর ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মোড়ে মিরাজুল (২১) নামে এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর বাবা মো. আব্দুস ছালাম ২৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নাম উল্লেখ করে ৩৬ জনকে আসামি করা (মামলা নং ১৭)  হয়। আর অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয় আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে। নাম উল্লেখ করা ৩৬ জন আসামির বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে ৩৭২ কিলোমিটার দূরে লালমনিরহাট সদরে। সবাই সেখানকার স্থায়ী ও আবাসিক বাসিন্দা। তাঁদের কেউ-ই ঢাকায় থাকেন না। অধিকাংশ আমি কখনো ঢাকায়ও আসেননি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একইভাবে আলোচিত ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর মিরপুরে নিহত সিয়াম হোসেন জিহাদের (১৬) মামলা। হোটেল কর্মচারী জিহাদ ১৮ জুলাই গুলিতে নিহত হন। এ হত্যা মামলার বাদী জিহাদের বাবা সোহাগ। মামলার সাক্ষী নিহতের মা জেসমিন বেগম (৪১) ও তাঁর নানা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাদী সোহাগ বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঘটনার পর থেকে স্থানীয় রাজনীতিবিদরা শুধু আমাদের খুঁজতে থাকেন। আমাদের পেয়ে তাঁরা অনেক যত্ন করেন। পরে আমাদের নিয়ে মডেল থানায় গিয়ে মামলা দেন। কিন্তু যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁদের কাউকে আমরা চিনি না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিহাদ হত্যা মামলায় মিরপুর বেনারসি পল্লীর এক ডজনের বেশি ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে তাদের কয়েকজনের আওয়ামী লীগের পদ-পদবি রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। যদিও বাস্তবে এমন কিছু নেই।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভুক্তভোগী নজরুল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমার নামে হত্যা মামলা হয়েছে। আমি বিচারের মুখোমুখি হবো। তবে যারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, তাদের বিচার চাই। তারা কোন উদ্দেশে আমার নামে মামলা দিয়েছে সে মুখোশ উম্মোচন করতে চাই।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নিহত জিহাদের নানা রহিম জমাদ্দার বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তাঁদের (রাজনীতিকদের) বলেছিলাম, এত বেশি আসামি দিলে মামলা নরমাল হইয়া যাইব। কম আসামি দেন। তারা তখন বলল, আপনারা এটা বুঝবেন না। এটা রাজনৈতিক মামলা।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্যদিকে রাজধানীর ভাসানটেকের একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে তিন শতাধিক। ৫ আগস্ট বঙ্গভবনের সামনে বিএনপি মহাসচিবের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন আরো অনেক সাংবাদিকের মতো টেলিভিশিন সাংবাদিক শাহনাজ শারমিন। কিন্তু ভাসানটেকে ১১ সেপ্টেম্বর দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের ওই সময় তিনি ফজলু নামে গার্মেন্টকর্মীকে প্রথমে রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এরপর এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করেন। ওই মামলায় এই সিনিয়র সাংবাদিককে ৫০ নম্বর আসামি করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই মামলায় শুধু সাংবাদিক শাহনাজ শারমিনই নন, ২৬ নম্বর থেকে ৫০ নম্বর পর্যন্ত আসামি করা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের। এজাহারে বলা হয়েছে, তাঁরাও সেদিন শাহনাজের মতো ফজলুকে হত্যা করেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মামলাটির বাদী গাড়িচালক সবুজ মিয়া বর্তমানে আর ভাসানটেক এলাকায় থাকেন না। সবুজ বর্তমানে সাভারে থাকেন বলে জানান তাঁর স্বজনরা। তাঁরা আরো জানান, ওই মামলায় যদি কারো নাম ভুল করে চলে আসে তাহলে আদালত থেকে তাঁরা ছাড়া পাবেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এভাবে অনেক ভুয়া মামলার বাদী গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার অগ্রগতি কতটুকু তাও জানেন না তাঁরা। ৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ডিএমপিতেই অনন্ত ২০টি হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মামলা নিয়ে জোরালো প্রতিবাদও হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অপরাধ ও সমাজবিশ্লেষক অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কেউ যদি অপরাধে জড়িত থাকে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কিন্তু কাউকে হেয়প্রতিপন্ন কিংবা হয়রানি করতে যত্রতত্র মামলায় ঢালাওভাবে আসামি করা মোটেও উচিত না। এতে সুবিচার করার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ নম্বরের শাহ আলী প্লাজা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইকরামুল হক সাজিদ। ৭ সেপ্টেম্বর ইকরামুলের বাবা মো. জিয়াউল হক বাদী হয়ে ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন, যার মধ্যে চারজন কক্সবাজারের বাসিন্দা। এ মামলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে। এর মধ্যে কক্সবাজারের বাসিন্দা মামলার ৫৪ নম্বর আসামি মিজানুর রহমান মাতব্বর (৫৫), তার চাচাতো ভাই ২৯ নম্বর আসামি জিয়াউর রহমান (৪৫), ভাতিজা ৪১ নম্বর আসামি মো. কামাল (৪৩) এবং ৬২ নম্বর আসামি নাজমুল হোছাইন (৩৪)।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আসামি মিজানুর রহমান ও জিয়াউর রহমান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমাদের যে চারজনকে আসামি করা হয়েছে, ঘটনার দিন কেউ-ই ঢাকায় ছিলাম না। সেদিন আমরা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও চকরিয়ায় ছাত্রদের সমর্থনে আন্দোলনে ছিলাম।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তাঁরা আরো জানান, তাঁদের পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক কারণে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন সিদ্দিকী ১৬ বছর আগে তাঁদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়া করে। এরপর থেকে তাঁরা কক্সবাজারেই অন্য একটি এলাকায় থাকেন। কখনো ঢাকায় থাকেননি। আওয়ামী লীগ নেতা তারেক বিন সিদ্দিকী টাকার বিনিময়ে বাদী জিয়াউল হককে দিয়ে কাফরুল থানার হত্যা মামলায় তাঁদের আসামি করিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ওই মামলার সাক্ষী মো. তরিকুল ইসলাম নামের একজন। তাঁর কাছে জানতে চাইলে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মামলার সাক্ষী হিসেবে তাঁর নাম কিভাবে আছে সেটি তিনি জানেন না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span>  </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে মামলার এজাহারে কক্সবাজারের চারজনের নাম কিভাবে এলো জানতে চাইলে মামলার বাদী মো. জিয়াউল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি পুত্রহারা অসুস্থ একজন মানুষ। এ বিষয়ে এখন কথা বলতে পারব না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ডিএমপির একাধিক থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাদী যখন এজাহার দাখিল করে, সেখানে কাদের নাম আছে, তারা অপরাধী নাকি নিরপরাধ ব্যক্তি, সেটা তো জানা সম্ভব না। তবে তদন্তে ঘটনায় জড়িতদের বিষয় উঠে আসছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যত্রতত্র মামলা ও ইচ্ছামতো আসামি করার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগর কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যেসব মামলা হচ্ছে, প্রতিটি মামলায় তদন্তে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যারা অপরাধী তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের মাধ্যমে যারা অপতৎপরতা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদাবাজি, ব্ল</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‍</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">্যাকমেলিংসহ নানা রকম হয়রানি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ নানা ধরনের মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক মামলা দায়ের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">৫ আগস্ট গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানা এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন মো. হৃদয় (২০) নামে এক তরুণ। ওই হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় ৫ সাংবাদিককেও আসামি করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মামলার বাদী মো. ইব্রাহিম কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাংবাদিকদের কাউকে আমি চিনি না। যে দোকান থেকে মামলার এজাহার টাইপ করা হয়েছে, সেখান থেকে তাদের নাম দিয়ে দেওয়া হতে পারে। এজাহারে প্রথমে পুলিশের নামও ছিল। পরে পুলিশের নাম বাদ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয় থানা থেকে। পরে পুলিশের নাম বাদ দিয়ে এজাহার দিয়েছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p>