<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতের শীর্ষ আলেম ও হাজারো আলেমের শিক্ষক আল্লামা কামারুদ্দিন আহমদ গৌরকপুরী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি গতকাল ২২ ডিসেম্বর সকালে ইন্তেকাল করেন। তিনি ভারতের শীর্ষ ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দের শায়খে সানি (হাদিসের শিক্ষকদের ভেতর দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি) ছিলেন। গতকাল দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। আল্লামা কামারুদ্দিন আহমাদ গৌরকপুরী ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮ সালে উত্তর প্রদেশের জেলার গৌরকপুরের বড়বলগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বশিরুদ্দিন গৌরকপুরী। তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ইহয়াউল উলুম মোবারকপুর ও দারুল উলুম মৌ-তে সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৫৪ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন এবং ১৯৫৭ সালে তাকমিল (দাওরায়ে হাদিস) সম্পন্ন করেন। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি ভারতের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের কাছ থেকে ইলমে দ্বিন অর্জন করেন। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে বিখ্যাত কয়েকজন হলেন আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানি, আল্লামা ফখরুদ্দিন আহমদ মুরাদাবাদি, মুহাম্মদ ইবরাহিম বলিয়াভি, বশির উদ্দিন খান বুলন্দশহরি, ফখরুল হাসান মুরাদাবাদি (রহ.) প্রমুখ। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার প্রতি মনোযোগ দেন। তিনি প্রথমে শাহ ওয়াসিউল্লাহ এলাহবাদী (রহ.)-এর হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর মহিউস সুন্নাহ খ্যাত উপমহাদেশের বিখ্যাত পীর ও বুজুর্গ শাহ আবরারুল হক (রহ.)-এর হাতে বায়াত হন এবং খিলাফত লাভ করেন। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষা সমাপনের পর তিনি দিল্লির মাদরাসায়ে আবদুর রবে প্রায় আট বছর শিক্ষকতা করেন। সেখানে তিনি বুখারির পাঠ দান করেন এবং দিল্লির একটি মসজিদে নিয়মিত তাফসির করতেন। ১৯৬৬ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি মুহাদ্দিস (হাদিসের শিক্ষক) পদে অধিষ্ঠিত হন এবং সুনানে নাসায়ি, সহিহ মুসলিম ও সহিহ বুখারির পাঠদান করেন। এ ছাড়া তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র : মিল্লাত টাইমস ও উইকিপিডিয়া</span></span></span></span></p>