<p>আয়াতের অর্থ : ‘যাদের জন্য আমার কাছ থেকে পূর্ব থেকে কল্যাণ নির্ধারিত আছে তাদেরকে তা (জাহান্নাম) থেকে দূরে রাখা হবে। তারা তার ক্ষীণতম শব্দও শুনবে না এবং সেখানে তারা তাদের মন যা চায় চিরকাল তা ভোগ করবে। মহাভীতি তাদেরকে বিষাদক্লিষ্ট করবে না এবং ফেরেশতারা তাদেরকে অভ্যর্থনা করবে এই বলে—এটাই তোমাদের সেই দিন, যার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেওয়া হয়েছিল।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১০১-১০৩)</p> <p>আয়াতগুলোতে কিয়ামতের দিন মুমিনের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে।</p> <p>শিক্ষা ও বিধান</p> <p>১. ফেরেশতা ও আল্লাহর নবীগণ কাউকে তাঁদের ইবাদত করতে বলেননি, তাঁরা এ কাজে উৎসাহিতও করেননি। সুতরাং এ জন্য তাঁদেরকে পরকালে জবাবদিহি করতে হবে না।</p> <p>২. স্বজাতির ভাষা সম্পর্কে অজ্ঞতা নিন্দনীয়। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) ইবনুজ জাবআরিকে ভর্ত্সনা করে বলেছিলেন, তুমি তোমার স্বজাতির ভাষা সম্পর্কে কতই না অজ্ঞ!</p> <p>৩. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, জাহান্নামিরা প্রচণ্ড আর্তনাদ করলেও তার ক্ষীণতম আওয়াজ জান্নাতিরা শুনবে না।</p> <p>৪. ভীতিকর বিষয় দ্বারা উদ্দেশ্য শিঙার সর্বশেষ ফুঁৎকার, যা শুনে মানুষ কবর থেকে উঠবে বা মৃত্যুর মৃত্যু অথবা জাহান্নামিদের জাহান্নামে নিক্ষেপের দৃশ্য।</p> <p>৫. কিয়ামতের ভীতিকর পরিস্থিতিতে ফেরেশতা মুমিনদের আশ্বস্ত করবে। ফলে তাদের অন্তর থেকে ভয় দূর হবে।</p> <p>(জাদুল মাসির : ৫/৩৯৩)</p>