<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেন্দুয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিসে যেকোনো কাজের জন্য ৫ শতাংশ টাকা না দিলে কোনো বিল পাস করা হয় না বলে অভিযোগ তুলেছেন কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ূন দিলদার। বিষয়টি তিনি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। তা ছাড়া দুদক কর্তৃপক্ষকেও মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি অভিযোগে বলেন, কেন্দুয়া উপজেলায় কৃষি ও কৃষকের উন্নতির লক্ষ্যে পৌরসভাসহ ১৪টি ইউনিয়নে কিছু প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। এসব প্রদর্শনীতে বিনা মূলে সার-বীজসহ অন্য উপকরণ দেওয়া হবে। এসব উপকরণ ক্রয়ের জন্য কয়েক লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। বরাদ্দ টাকা উত্তোলনের জন্য বিল আকারে তৈরি করে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের টাকা না দেওয়ায় তাঁরা বিল দিতে গড়িমসি করছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন দিলদার জানান, কৃষি প্রদর্শনীর বরাদ্দ থেকে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে টাকা দিলে কৃষকরা বঞ্চিত হবেন। আমি জেনে-শুনে সেই কৃষকদের কেন ঠকাতে যাব? নিয়ম ছাড়া পার্সেন্টিসের টাকাই দেব কেন? বিষয়টি তিনি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। তা ছাড়া দুদক কর্তৃপক্ষকেও মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি জানান, দুদক কার্যালয় থেকে জনৈক কর্মকর্তা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছেন। এরপর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অর্ধেক বিল পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি কিছু বিলের জন্য আইটি খাতে ৭ শতাংশ টাকা দাবি করছে তারা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার হিসাবরক্ষণ অফিসে গিয়ে একজন পেনশনভোগীর সঙ্গে কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে তিনি বলেন, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পেনশন ভাতার হিসাব ভুল হয়েছে বলে সাত হাজার টাকা কর্তন করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কৃষি কর্মকর্তার জমা দেওয়া বিলে অসংগতি ছিল এবং অডিটের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করেই বিল পাস করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p>