<p>দেশের বাজারে পলিথিন এবং পলিপ্রপাইলিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণার দুই মাসেও বন্ধ হয়নি। কুমিল্লার কাঁচাবাজারসহ সর্বত্রই অবাধে চলছে নিষিদ্ধ এই ব্যাগের ব্যবহার। ব্যবসায়ীদের দাবি, খুচরা ও স্বল্প মূল্যের পণ্য বিক্রিতে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই পলিথিনে পণ্য দিতে হচ্ছে তাদের।</p> <p>সরেজমিন কুমিল্লা নগরীসহ জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যেই নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগে মাছ, মাংস ও সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ মানছেন না পলিথিন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা।</p> <p>নগরীর রাজগঞ্জ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ক্রেতারা বাজারে আসার সময় ব্যাগ নিয়ে আসেন না। পলিথিনে সদাই না দিলে নিতেও চায় না। আধাকেজি মরিচ কিনলেও পলিথিন চায়। বিকল্প হিসেবে বাজারের ব্যাগ দিলে আবার টাকা না দিয়ে চলে যান। আমরা আছি উভয় সংকটে। বাধ্য হয়ে পলিথিনে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে।’</p> <p>নিউমার্কেট এলাকার মুদিদোকানি আলাউদ্দিন বলেন, ‘পলিথিনের সদাই দেওয়ার পক্ষে আমরাও না। কী করব বাজারে তো এর বিকল্প নেই। তার পরও যতটুকু সম্ভব পলিথিন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছি। তা ছাড়া বাজারের ব্যাগ সঙ্গে আনতে ক্রেতাদের উৎসাহিত করছি।’</p> <p>বাজার করতে আসা আহমদ ছিফাতুল্লাহ জায়িম বলেন, ‘আমরা চাই এর বিকল্প বাজারে আসুক। চাল, ডাল ও চিনি নেওয়ার জন্য বাজারে এখন বিকল্প কিছুই নেই। যে কারণে আমরাও বাধ্য হয়ে পলিথিন ব্যবহার করছি।’</p> <p>নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দীপক সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগে পলিথিন উপৎপাদন বন্ধ করতে হবে। যেসব দোকানে পলিথিন বিক্রি করে সেখানে অভিযান চালাতে হবে। একই সঙ্গে কম দামে পলিথিনের বিকল্প কিছু বাজারে আসুক। তাহলে পলিথিনের ব্যবহার এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।’</p> <p>এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব বলেন, ‘কুমিল্লায় পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে আমরা ঠোঙা ব্যবহারে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে উৎসাহিত করছি।’</p> <p>কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আমিরুল কায়সার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ক্রেতা সাধারণ এবং ব্যবসায়ীদের পলিথিনের কুফল সর্ম্পকে বাঝানো হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে আমরা সবাই যদি সচেতন হই, তাহলে দ্রুত পলিথিনের ব্যবহার কমে যাবে এবং সর্ম্পর্ণ নির্মূল করা সম্ভব হবে।’</p>