<p>পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) অভ্যন্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার অধীনে ২৭ জন নিরাপত্তাকর্মী ও ৫৪ জন আনসার সদস্য রয়েছেন। তবে দিনের শিফটে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীদের পাওয়া গেলেও রাত ৯টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের পাওয়া যায় না। অভিযোগ রয়েছে রাতে পাহারাস্থলে আনসার সদস্যদের রেখে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা ঘুমাতে চলে যান। নিরাপত্তাকর্মীদের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি স্থানের নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। নিরাপত্তাকর্মীদের কাজে এমন উদাসীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।</p> <p>এদিকে হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। শেষ দুই মাসে সন্ধ্যা থেকে ভোর রাতের মধ্যে চারটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর ২০২৩ সালের ২ মে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে চুরির ঘটনা ঘটেছে।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাত ৯টার পর পাহারাস্থল ত্যাগ করে নিরাপত্তাকর্মীরা নিজেদের সুবিধামতো কেউ মেডিক্যাল সেন্টারে, কেউ প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পাহারাস্থলেই মশারি টানিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।</p> <p>বিষয়টি অনুসন্ধানে গত এক মাসে পাঁচ রাত সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, ক্যাফেটেরিয়া বিল্ডিং, লাইব্রেরি বিল্ডিং, একাডেমিক ভবনে কোনো নিরাপত্তাকর্মী পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী রতন আহমেদ বলেন, ‘শেষ যেদিন চুরি হয়েছে, সেদিন লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়েছে। রাতে নিরাপত্তাকর্মীদের পাহারাস্থলে পাওয়া যায় না।’</p> <p>এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘রাতে নিরাপত্তাকর্মীদের পাহারাস্থলে পাওয়া না যাওয়ার সাক্ষী আমি নিজেও। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।’</p> <p> </p>