ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬
যশোর

বই না পাওয়ায় ব্যাহত পড়ালেখা

  • সবচেয়ে কম বই পেয়েছে অষ্টম-ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা
  • পিছিয়ে পড়ছে শহরের বাইরের শিক্ষার্থীরা
ফিরোজ গাজী, যশোর 
ফিরোজ গাজী, যশোর 
শেয়ার
বই না পাওয়ায় ব্যাহত পড়ালেখা

দেড় মাস পার হয়েছে নতুন বছরের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে পাঠ কার্যক্রম। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণির সব বই না পৌঁছানোয় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের যথাযথ পড়ালেখা। প্রভাব পড়ছে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতিতেও।

বই না পাওয়ার দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পড়াশোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শহরের বাইরের শিক্ষার্থীরা। ওয়েবসাইটে সব বিষয়ের বই উন্মুক্ত থাকায় শহরের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সে সুবিধা নিতে পারছে ইন্টারনেট সহজ হওয়ায়। তবে ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় গ্রামের বিদ্যালয়গুলোর বড় অংশের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।

শিক্ষকরা বলছেন, বই না পৌঁছালেও পাঠদানে তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীদের পড়তে সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, খুব শিগগির সমস্যার সমাধান হবে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার যশোরের কয়েকটি উপজেলার বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

যশোর জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক মিলিয়ে মোট বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৪০টি। এসব বিদ্যালয়ে অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণি মিলিয়ে মোট ৯২ হাজার ২৮৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে কথা হয় প্রধান শিক্ষক আহসান উল্লাহর সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণির ১৩টি বইয়ের মধ্যে দুটি বই পেয়েছে। বাকি রয়েছে ১১টি বই।

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ১৩টি বিষয়ের বইয়ের মধ্যে তিনটি বিষয়ের বই পেয়েছে। বাকি রয়েছে এখনো ১০টি বই। নবম শ্রেণির ১৬ বিষয়ের মধ্যে ১৩টি বই ও সপ্তম-দশম শ্রেণির সব বই শিক্ষার্থীরা পেয়েছে। এতে দেখা যায় সবচেয়ে কম বই পেয়েছে অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।

বই না থাকায় পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে কি না? বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতিতে প্রভাব পড়ছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পাঠদানে খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না। তবে আমরা অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থী উপস্থিতিতে উৎসাহিত করি। তার পরও কাঙ্ক্ষিত উপস্থিতির চেয়ে কিছুটা কম হচ্ছে।

কায়েমকোলা বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ১১৬ জন। এদিন ক্লাসে উপস্থিত ছিল ৮৪ জন। অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ১১১ জন। উপস্থিত ছিল ৭৮ জন। এতে দেখা যায় এ দুই ক্লাসে ২২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১৬২ জন। অনুপস্থিত ছিল ৬৫ জন।

এই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলী কদর বললেন, অনলাইন থেকে প্রিন্ট দিয়ে পড়ানোর মতো সুবিধা করা যাচ্ছে না। কারণ শিক্ষার্থীদের অনেকের পারিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই দুর্বল।

চৌগাছা উপজেলার দশপাখিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে কথা হয় প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ৪০ জন। এদিন উপস্থিত ছিল ২৮ জন। অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ৩৮ জন। উপস্থিত ছিল ২৫ জন।

জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন বলেন, খুব শিগগির সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারব।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আশুলিয়ায় বজ্রপাতে নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
আশুলিয়ায় বজ্রপাতে নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু

সাভারের আশুলিয়ায় বজ্রপাতে বিথি আক্তার (৩২) নামের এক নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় সাভারের আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের উনাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিথি আক্তার আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের উনাইল গ্রামের রাসেল হোসেনের স্ত্রী। তিনি আশুলিয়ায় স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

ধামসোনা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সন্ধ্যায় বিথি আক্তার কারখানায় কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাস শুরু হয়। সে সময় বিথি বাড়ির কাছাকাছি এলে বজ্রপাতের কবলে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পরে পরিবারের সদস্যরা ওই নারীর মরদেহ বাসায় নিয়ে আসেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

মাদারীপুরের ডাসারে সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল রবিবার সকাল ১১টার দিকে ডাসার উপজেলার পাথুরিয়ারপাড় থেকে সনমান্দি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় এই অভিযান চালায় ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সাইফ-উল-আরেফীন। ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের বরিশাল খালের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠে অবৈধ স্থাপনা। পরে সেখানে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে অসাধুচক্র।

এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। খাল দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনায় বন্ধ হয়ে যায় পানিপ্রবাহ। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে অভিযানে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেনাবাহিনীর সহয়তায় উচ্ছেদ করা হয় শতাধিক দোকানপাট।
ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক সাইফ-উল-আরেফীন জানান, এর আগে নোটিশ দেওয়া হলেও কেউ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। তাই নেওয়া হয়েছে আইনগত ব্যবস্থা। জনস্বার্থে নিয়মিত এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

২০০ বছরের কালীমন্দির ফের উদ্বোধন

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
শেয়ার
২০০ বছরের কালীমন্দির ফের উদ্বোধন

নওগাঁর নিয়ামতপুরে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো শ্রীশ্রী জয় কালীমাতা ও শ্রী শরৎ কালীমন্দিরের সংস্কার শেষে ফের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ১০টায় মান্দা উপজেলার ঠাকুর মান্দার জমিদার অমিত রায়ের উত্তরসূরি অশোক রায় বাপ্পি এই মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জমিদার পরিবারের আরেক উত্তরসূরি দেবাশীষ রায়, নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনসহ জমিদার পরিবারের সব সদস্য। উদ্বোধনকালে অশোক রায় বাপ্পি বলেন, এই শ্রীশ্রী জয় কালীমাতা ও শ্রী শরৎ কালীমন্দিরটি ১৮৫৫ সালে আমাদের পূর্বপুরুষ প্রতিষ্ঠা করেছিল প্রায় ২০০ বছর আগে।

রাজ খাড়া কসবা মান্দার দেবোত্তর স্টেটের পক্ষ থেকে রায় বাহাদুর এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। প্রতিবছর ব্যাপক জাঁকজমকের সঙ্গে এই মন্দিরে পূজা-অর্চনা করা হতো। দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত আসত এখানে। ভোগ বিতরণ, পাঁঠা বলিসহ বিশাল আয়োজনে কালীমাতার পূজা হতো।

মন্তব্য

মুঠোফোন নিয়ে বকাঝকা, কিশোরীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
মুঠোফোন নিয়ে বকাঝকা, কিশোরীর আত্মহত্যা

সিলেট নগরের শেখঘাট এলাকা থেকে লাবিবা তানহা (১৩) নামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার ভোরে শেখঘাট সরকারি কলোনির বিপরীতের একটি বাসার গলি থেকে টেলিফোনের তারে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাবিবা শেখঘাট এলাকার মৃত মুজিবুর রহমানের মেয়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিয়ে লাবিবাকে বকা দেন তার মা।

এতে অভিমান করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় সে। রাতে ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। ভোরে বাসার পাশের গলির এক কোণায় টেলিফোনের তারে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাবিবাকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিয়ে লাবিবার মা তাকে বকাঝকা করেছিলেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মায়ের সঙ্গে রাগ করেই সে আত্মহত্যা করেছে। তার পরও ঘটনাটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ