<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজ ৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস (</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">International Day for persons with disabilities) </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। এই দিবসের আজকের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রথম ১৬টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশও জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের অধিকার সনদে ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর অনুসমর্থন জানিয়েছিল। ৩ মে ২০০৮ থেকে এই সনদ বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে বলবৎ হয়। ওই বছরের ১২ মে বাংলাদেশ সরকার এই সনদের ঐচ্ছিক পালনীয় বিধি-বিধানে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">(Optional Protocol) </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুসমর্থন জানায়।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ জাতিসংঘের অন্যতম সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">The Rights and Protection of Persons with Disability Acts </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কার্যকর করেছে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত নিরূপণ করা হয়নি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ১৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার। এই বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে দুই কোটি ১৫ লাখেরও বেশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছে। রাষ্ট্রের এই বিশালসংখ্যক প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে শনাক্ত করা, প্রতিবন্ধী শিশুকে শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করা, প্রশিক্ষণের দ্বারা দক্ষতা অর্জন করে উৎপাদনমুখী জনশক্তিতে পরিণত করা রাষ্ট্র, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব মহলের প্রধান দায়িত্ব।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল ও সুধীসমাজ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর স্বার্থকে কোনোভাবে উপেক্ষা, অবহেলা, অবজ্ঞা না করে বরং গুরুত্বসহকারে মানবিক মূল্যবোধ ও সমমর্যাদা নিশ্চিত করে বিদ্যমান আইনকে কার্যকর করবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিত করতে যেসব ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি সেগুলো হচ্ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. মন্ত্রণালয়ভিত্তিক </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">Allocation of Business</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর কার্যবিধি সংশোধন করা; ২. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ বাস্তবায়নে জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে কমিটিগুলোকে সক্রিয় করা; ৩. জাতিসংঘ সনদ বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন করে সক্রিয় করা; ৪. টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা (২০২৫ সালে  উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক বিশ্ব সভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে); ৫. জাতীয় বাজেটে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নকল্পে অর্থ বরাদ্দ করা; ৬. সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ১ শতাংশ কোটা নিশ্চিত করা; ৭. জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে পুনর্গঠন করে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়া; ৮. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া ফেডারেশন গঠন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে তা সক্রিয় করা, যাতে মেধাবী, দক্ষ প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করতে পারেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সমাজের সব ক্ষেত্রে যেভাবে সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের প্রতিও অনুরূপ ব্যবস্থা নেবেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজকের এই দিনে আমাদের প্রত্যয় হোক একটি একীভূত সমাজে প্রতিবন্ধী ও অপ্রতিবন্ধী সমমর্যাদা ও সমসুযোগ উপভোগ করে একটি সুন্দর, গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে কাজ করে যেতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : আহ্বায়ক</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডিস-এবিলিটি রাইটস ওয়াচ</span></span></span></span></p> <p> </p>