‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দীর্ঘ ১৭ বছর পর মুক্ত পরিবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দুটি কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জেলার নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ও বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ দুটি কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নবীনগর উপজেলায় সকালে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে ‘প্রধান অতিথি’ ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা ও কর্মপরিষদের সদস্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমির মোহাম্মদ আবদুল জব্বার।
এতে সভাপতিত্ব করেন নবীনগর পৌরসভার আমীর মো. মোখলেছুর রহমান।
কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা'র সদস্য এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা’র সদস্য সাবেক জেলা আমির কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, বাংলাদেশ ল’য়ারস কাউন্সিলের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল বাতেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মেসবাহ্ উদ্দিন নাঈম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নবীনগর পৌরসভা আমির গোলাম কিবরিয়া মোল্লা।
দলটির পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাশারের সঞ্চালনায় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অপরদিকে একই দিনে (শনিবার) বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বিকেলে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনেও ‘প্রধান অতিথি’ ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা ও কর্মপরিষদের সদস্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমির মোহাম্মদ আবদুল জব্বার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য মো. শামীম নূর ইসলাম ও উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কাজী আবুল বাশার।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আমির মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, মো. মাহিমুর রহমান সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার তাঁর বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই বাংলাদেশে এত বেশি ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর কখনো ঘটেনি। কারণ বিশ্ব ইতিহাসে এত বড় জঘন্যতম, নির্মম ও পৈশাচিকতা আওয়ামী লীগের আগে আর কোনো শাসক দল করেনি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাদের শাসনামলে সবচেয়ে নির্যাতিত-নিপীড়িত মজলুম দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এখনো কোনো প্রতিশোধ নেয়নি।
কারণ, জামায়াতে ইসলামী প্রতিশোধের রাজনীতি করে না।
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের দুঃশাসনে দেশের সবকিছু একেবারে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তাই এখনই কোনো নির্বাচন নয়। আমরা মনে করি, ‘আগে সংস্কার করতে হবে, তারপর নির্বাচন দিতে হবে।’