চট্টগ্রামে স্মার্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অধীনে নগরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল জরিমানা ব্যবস্থা ও যানবাহনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারী যানবাহন ও চালকদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরিমানা পাঠানো হবে। পাশাপাশি, স্মার্ট সিগন্যালিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যা সড়কে যানজট কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া চেহারা শনাক্তকারী ক্যামেরা ব্যবহার করে চিহ্নিত করা যাবে অপরাধীদের।
পথচারী পারাপারের জন্য থাকবে জেব্রা ক্রসিংয়ের সাথে সংযুক্ত পুশ বাটন সিস্টেম, যা ব্যবহার করে রোগী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা সহজে সড়ক পারাপার করতে পারবেন।
বুধবার (১৯ মার্চ) চসিক কার্যালয়ে এক সভায় নগরীর যানজট সমস্যা সমাধান ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে স্মার্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করার বিষয়ে চায়নিজ প্রতিষ্ঠান বিআইটির প্রেজেন্টেশনে এসব তুলে ধরা হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের কাছে ওই প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
আরো পড়ুন
চ্যালেঞ্জ থাকলেও সুযোগকে বড় করে দেখছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
এই প্রসঙ্গে সভায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম নগরের যানজট দীর্ঘদিনের সমস্যা।
স্মার্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর মাধ্যমে নগরের সড়ক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এতে জনগণের ভোগান্তি কমবে এবং যাতায়াত আরও সহজ হবে। প্রাথমিকভাবে পাইলটিংয়ের অংশ হিসেবে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম স্থাপন করা যেতে পারে। পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতার আলোকে পর্যায়ক্রমে পুরো নগরজুড়ে এ ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চায়নিজ প্রতিষ্ঠান বিআইটির কর্মকর্তা অস্টিন, কনস্ট্যান্ট, মাল্টি-পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের (ম্যাফ) সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশি প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি এস এন মাসুদ, প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম আবির, মাহামুদুল হাসান, মো. নাজিম উদ্দিন, প্রকৌশলী আমিনুল্লাহ মজুমদার।