<p>বেড়াতে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ফারহা আল কাধি। খোশমেজাজেই ঘুরছিলেন বিলাসবহুল ইয়টে। আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তিউনিশিয়ার জনপ্রিয় এই ইনফ্লুয়েন্সারের।</p> <p>ইউরোপের দেশ মাল্টায় স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মৃত্যু হয়েছে তার।</p> <figure class="image"><img alt="1" height="479" src="https://backoffice.channel24bd.tv/media/imgAll/2024June/uploads/22_1718976178.JPG" width="400" /> <figcaption><sub><em>ফারহা আল কাধির</em></sub></figcaption> </figure> <p>নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, মাল্টার একটি নৌযানে উঠার সময় হঠাৎ অসুস্থবোধ করেন ফারাহ। তারপর মেটার দেই হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মৃত্যু হয় তার। ফারহার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহ-ইনফ্লুয়েন্সার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু সোলায়মা হানিয়ানিয়া কাধির। সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে তিনি জানান―ফারাহ আল কাধির মারা গেছেন।</p> <p>সোলায়মা হানিয়ানিয়া আরও জানান, ফারাহ সত্যিই ব্যক্তিত্ববান, উদার ও উষ্ণ হৃদয়ের ছিলেন। তার ইতিবাচক চেতনা সবাইকে স্পর্শ করেছিল। বিশেষ করে যারা তার সংস্পর্শে ছিলেন।</p> <p>এদিকে ফারাহর মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য ম্যাজিস্ট্রিয়াল তদন্তের মাধ্যমে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তার শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাত ছিল না বলে ধারণা করা হচ্ছে।</p> <p>ইনস্টাগ্রামে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ফলো করেন ফারাহকে। তিউনিশিয়ার শীর্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেই পরিচিতি ছিল তার। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় বিউটি টিপস এবং তার ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘বাজার বাই ফাফ’-এর প্রচারণার জন্য তারকা খ্যাতি পেয়েছিলেন এ তরুণী। জানা গেছে, ফারাহ মাল্টায় ছুটি কাটাচ্ছিলেন। সেখানে ইনস্টাগ্রামে একটি কোম্পানি ও ব্র্যান্ডের প্রচার করছিলেন তিনি। তারকার শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্ট গ্রিসের এক রেস্তরাঁ থেকে। একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। একদিকে পাহাড়, একদিকে সমুদ্র। তারই মাঝে হাসি মুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছিলেন ফারহা। তখনও হয়তো তিনি জানতেন না, এই পৃথিবীতে তার আয়ু ফুরিয়ে এসেছে!</p>