<p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিধ্বস্ত জনপদ ইসরায়েলের থাবায় এখন লণ্ডভণ্ড। বিমান ও বোমা হামলার রাত-দিন নেই। এর ওপর জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘরহীন মানুষ খোলা আকাশের নিচে তাঁবুতে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে শিশুরা। ক্ষুধা ও শীতের জ্বালায় তারা ঘুমাতেও পারছে না। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে শুকনা জামা-বিছানাও ভিজে একাকার। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) প্রকাশিত তালিকায় দেখানো হয়েছে, ২০২৫ সালে বিশ্বের নানা প্রান্তে কষ্টে থাকা মানুষের মধ্যে গাজাবাসীর অবস্থান দ্বিতীয়। এই কষ্টের মাঝেও ইসরায়েল রাত-দিন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ছেঁড়া তাঁবুতে শীত ও বৃষ্টির ফোঁটা ঠেকানো যাচ্ছে না। ঠাণ্ডা বাতাসে ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও কাবু হয়ে যাচ্ছেন। বাইরে থেকে শীতের জামা, কম্বল, খাদ্যদ্রব্য পৌঁছানোর সুযোগ কমে গেছে। গাজাবাসী শীতের কাছেও হার মানতে বাধ্য হচ্ছে। প্রতিদিন শীতে শিশুরা প্রাণ হারাচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিশোরী হেবা রাফাতের বয়স মাত্র ১৫ বছর। ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে তাকে পরিবারের সঙ্গে ১০ বার জায়গা বদল করতে হয়েছে। যুদ্ধে এক ভাইকে হারিয়েছে রাফাত। মা-বাবার স্বাস্থ্যের অবস্থা একেবারেই নাজুক। এ অবস্থায় তাকেই পরিবারের হাল ধরতে হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজার গৃহহীন জনগোষ্ঠী যুদ্ধ ও শীতের পাশাপাশি ভয়াবহ স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। আশ্রয়শিবিরগুলো অত্যন্ত জনবহুল। সুপেয় জলের অভাবে নানা ধরনের রোগে তারা প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া আর জন্ডিস এখন তাদের নিত্যসঙ্গী। গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার পরিবেশও সেখানে নেই। বিমান হামলায় আহতরাও মারা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা সেখানে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। এতে সবচেয়ে বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়বে বেঁচে থাকা অসহায় শিশুরা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রায় ১৫ মাস ধরে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। এর ওপর সেখানে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। হামলার পাশাপাশি শীতেও মারা পড়ছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ নেই বললেই চলে। সেখানে জেনারেটর চালানোর মতো জ্বালানিও নেই। কম্বল, উষ্ণ কাপড়ের তীব্র সংকট। এমনকি আগুন জ্বালানোর কাঠও নেই।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজায় আশ্রয়হীনদের জন্য তৈরি একটি শিবির সম্প্রতি পরিদর্শন করেন জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের মুখপাত্র রোজালিয়া বোলেন। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজার শিশুরা শীতে অবর্ণনীয় কষ্ট পাচ্ছে। তারা অসুস্থ ও আতঙ্কিত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সূত্র : এরাব নিউজ</span></span></span></span></span></p>