<p style="text-align:left"><span style="color:#c0392b"><strong><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারেক রহমানের রাজনৈতিক সত্তাকে ছাপিয়ে যে বিষয়টি এখন নানা মহলে চর্চা হচ্ছে, সেটি হলো তাঁর নিপাট মানবিকতা। লন্ডনে শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে মায়ের সেবাকেই এই মুহূর্তে তিনি জীবনের ব্রত বানিয়ে নিয়েছেন। </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্যাতিত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মা-ছেলের কুয়াশামুখর ধূসর সময় কাটিয়ে আলোর পায়রাগুলো ডানা মেলুক, ক্লান্ত প্রহরগুলো কথা বলে উঠুক নতুন ভোরের প্রয়োজনে</span></span></span></span></strong></span></p> <p> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের মাটিতে মায়ের সেবা করতে পারলে তারেক রহমানের অনুভূতি কেমন হতো, সেই অনুভূতির কথা হয়তো একদিন শোনা যাবে তাঁর মুখে। কিন্তু </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্মিত অবিচার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর কারণে লন্ডনের হাসপাতালে দিনরাত আজ একাকার তারেক রহমানের। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লন্ডন ক্লিনিকে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিন স্ত্রী-কন্যাসহ হাসপাতালে হাজির হচ্ছেন মায়ের সেবায়। নিজ বাসায় রান্না করা খাবার নিয়ে সঙ্গে স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণমাধ্যমের তথ্য মতে, পরিবারের সংস্পর্শ পেয়ে খালেদা জিয়াও এখন অনেকটা উজ্জীবিত, প্রাণবন্ত। তাঁর স্বাস্থ্য উন্নতির দিকে যাচ্ছে। হাসপাতালে একা একা হাঁটাচলা করছেন, কথা বলছেন অনেকের সঙ্গে। বলা চলে, পুরোপুরি চি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিৎসা শুরু না হলেও লন্ডনে হাসপাতালে ভর্তির পর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে গত ৭ জানুয়ারি রাতে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ঢাকা ছাড়েন তিনি। রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে কাতার আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি। ৮ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছেন খালেদা জিয়া। এর পর থেকে মমতাময়ী মায়ের সেবা-শুশ্রূষা নিয়েই ব্যস্ত তারেক রহমান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লন্ডনে এখন তুষারপাত না হলেও কনকনে ঠাণ্ডায় জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি। এমন অবস্থার মধ্যেই ভোর হতে না হতেই ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় লন্ডনের কিংস্টন শহরে তারেক রহমানের বাড়িতে। ভোর থেকে শুরু হওয়া সেই ব্যস্ততায় কাটছে রাতও।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গদিচ্যুত আওয়ামী লীগের রোষানলের কারণে সাড়ে সাত বছর মায়ের সান্নিধ্য পাননি তারেক রহমান। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দীর্ঘকাল পর মাকে কাছে পেয়ে তাই উচ্ছ্বাসের কমতি নেই তাঁর। দেশের বাইরে থেকেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখন তারেক রহমান। দিনভর রাজনৈতিক, সামাজিক, কূটনৈতিক ও সাংগঠনিক ব্যস্ততায় দম ফেলারও ফুরসত নেই তাঁর। কিন্তু মাকে কাছে পেয়ে পুত্র-দায়িত্বে বিন্দুমাত্র ঘাটতি রাখছেন না তিনি। সেই ব্যস্ততায় তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মায়ের শিয়রের পাশে বসে পরম যত্নে খাইয়ে দেন সঙ্গে আনা ডাক্তারের অনুমোদিত খাবার। মা-ছেলের এই সময়টুকু কেটে যায় পারিবারিক ও রাজনৈতিক নানা স্মৃতিচারণায়। লন্ডনে অবস্থানরত জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, ক্লিনিকে মায়ের পাশে দেখা তারেক রহমান একেবারেই যেন অন্য কেউ। সব কিছুর ঊর্ধ্বে তিনি তখন শুধুই মা-অন্তপ্রাণ এক সন্তান। মাকে কাছে পেয়ে তাঁর নিত্যদিনের রুটিনেও বেশ পরিবর্তন এসেছে। কারণ মায়ের সঙ্গেই তাঁর সময় কাটছে বেশি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিথরো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর পর নিজেই গাড়ি চালিয়ে তাঁকে ক্লিনিকে নিয়ে যান তারেক রহমান। মায়ের প্রতি তারেকের আবেগ-ভালোবাসা প্রশংসিত হয়েছে সর্বমহলে। রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে তারেক রহমান অনন্য এক মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ। সামাজিক আয়োজন থেকে শুরু করে চিকিৎসা ও শিক্ষাগত প্রয়োজন মেটাতে নিজ উদ্যোগে বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে সারা দেশে ১৪৪ পরিবারকে প্রতি মাসে ভাতাও দিচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া গুম, খুন হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর মধ্যে তিনজনের বিয়ের আয়োজন করেন। তিনি বিভিন্ন এলাকায় অসহায় বেশ কয়েকটি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের ২০০ জনকে সহযোগিতা করেছেন তারেক রহমান।</span></span></span></span></span></p>