<p>বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক বলেছেন, ‘ঐক্যের ক্ষেত্রে অনেক মতপার্থক্য আছে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য একটা গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রয়োজন। এর বাইরে রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন পক্ষের নানা এজেন্ডা আছে। তাই এখানে আমাদের একটা জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছতে হবে।’</p> <p>গতকাল রবিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য-বিরোধ সুরাহার পথ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল হক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমান পরিস্থিতি একা সামাল দিতে পারবে না। তাই সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্রশক্তি—সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ভারত তাদের সব প্রতিবেশীকে বৈরী প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশকে তারা সেভেন সিস্টারসের একটি রাজ্যের মতো দেখত। ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক স্বার্থে অবস্থান নিয়ে বিগত সরকার এ দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। সাইফুল হক বলেন, ‘বৈষম্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সব ক্ষেত্রে আছে। এসব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার ছাড়া আমরা সামনে এগোতে পারবে না।’</p> <p>বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘কিভাবে আমরা বহু মতাদর্শের মধ্যকার বিরোধ নিরসন করতে পারি, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম, বিসমিল্লাহ থাকবে কি না—এমন প্রশ্নগুলোর সুরাহা করতে গেলে আসলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাবে কি না আমরা জানি না। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতো বক্তব্য দিতে শুরু করেছে। কেউ বলছে, বেশি সময় নেন, কেউ বলছে দ্রুত নির্বাচন দেন। এ অবস্থায় সংবিধান, নির্বাচনের প্রশ্নে বিরোধ হবে। অর্থাৎ আমরা সংস্কারের জায়গাটা তৈরি করতে পারছি না।’</p> <p>স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেন, গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে সবার কথা বলা যাবে, সবাই ভালো থাকবে। গণতন্ত্র না থাকলে কিছুই থাকবে না। শুধু অর্থনীতি দিয়ে দেশ চলে না। দেশ চালাতে হলে রাজনৈতিক অর্থনীতি দরকার। অর্থনীতি ও রাজনীতির মেলবন্ধন লাগে।</p> <p>তিনি বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে বলা হয়, সংস্কার রাজনৈতিক সরকার করবে। কিন্তু যে অবস্থায় ছিলাম আমরা, তা থেকে যদি একটা জায়গায় পৌঁছতে চাই তাহলে আমাদের কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন অবশ্যই দরকার। নির্বাচনের জন্যই এত কিছু হয়েছে। ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব না।’ তিনি আরো বলেন, ‘২০০৭ সালে সংস্কার সংস্কার সবাই করছিল, কিন্তু কিছু হয়েছে? যারা সংস্কার চেয়েছিল, তারা পার্টি থেকে বাদ হয়ে গিয়েছিল।</p>