<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে অটোরিকশার সংখ্যা নির্ধারিত। গত প্রায় ২০ বছরেও নতুন কোনো অটোরিকশার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এতে নির্দিষ্ট কিছু মালিকের কাছে অটোরিকশা নিয়ে আধিপত্য তৈরি হয়েছে। সরকার নির্ধারিত নিয়মে চালকের কাছ থেকে মালিকদের দৈনিক জমা এবং যাত্রীর কাছ থেকে চালকের ভাড়া আদায় কোনোটাই হচ্ছে না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর যেখানে একটি অটোরিকশার দাম চার লাখ টাকা, সেখানে একটি নম্বর প্লেটের দাম বাজারে ২০-২৫ লাখ টাকায় ঠেকেছে। তাই অটোরিকশাকেন্দ্রিক পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন বলছেন, অটোরিকশার অনেকগুলো সংগঠন। এগুলো নিয়ে আমরা খানিকটা বিপাকে পড়েছি। একপক্ষকে ডাকলে আরেকপক্ষ আবার অভিযোগ তোলে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের কেন ডাকলেন না! ফলে সিএনজি-অটোরিকশা মিটারে চলা, ভাড়া এবং মালিককে টাকা জমা দেওয়ার পরিমাণ ঠিক করা কঠিন হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে মিরপুর ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলে বিআরটিএর সেবা সহজীকরণসংক্রান্ত মতবিনিময়সভায় তিনি এমন কথা বলেন। মো. ইয়াসীন বলেন, রাইট শেয়ারিং হওয়াতে সিএনজি-অটোরিকশার ভাড়ার দৌরাত্ম্য কিছুটা কমেছে। কিন্তু অটোরিকশা মালিক সমিতির কারণে গত তিন মাসে আমরা এটা ঠিক করতে পারিনি। এগুলোর একটা নীতিমালা আছে। এটা নিয়ে কমিটি করা আছে। আমরা দুই-এক মাসের মধ্যে সিএনজির মিটারে চলার ভাড়া, জমার পরিমাণ এগুলো নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেব। বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, রাজধানীর বাসগুলোকে দেখলে বোঝা যায়, এগুলোর কী অবস্থা! এ জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী মে মাস থেকে সড়কে কোনো ফিটনেসবিহীন বাস চলতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে এরই মধ্যে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযান শুরু করা হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মতবিনিময়সভায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আল লতিফ বলেন, আমি গতকালই (মঙ্গলবার) সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। ঢাকার বাসগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এর আগে আরো খারাপ ছিল। আপনারা আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ঢাকার পরিবহনব্যবস্থায় অনেক উন্নতি দেখতে পারবেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রহিম দুদু বলেন, আমাদের দেশের চালকদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া আমাদের পাঠ্যবইয়ে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সতর্কতার বিষয়ে যুক্ত করতে হবে। বিদেশের সড়কে একটা বিড়ালও ঢুকতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে সেই অবস্থা নেই।</span></span></span></span></span></p>