<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অনুমোদিত ২০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ড রয়েছে। তবে সেটি পরিচালিত হচ্ছে বরিশাল সদর হাসপাতালের ভাঙাচোরা একটি ভবনে। বছর দুয়েক আগে সেই ভবন ভেঙে সেখানে বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। তাই হাসপাতালের একটি টিনশেড কক্ষে ১২ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কর্যক্রম চলছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোল্ড ডায়রিয়া আসলে কী : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোল্ড</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ডায়রিয়ার প্রসঙ্গে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, কিছু কিছু ভাইরাস আছে, যেগুলো শ্বাসনালি ও খাদ্যনালি উভয়কেই আক্রমণ করে। এই ধরনের সমস্যা শীতের দিনে বেশি হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জার কয়েকটি স্ট্রেন এবং রোটাভাইরাস এই সমস্যার মূল কারণ। সর্দিকাশি, জ্বরের সঙ্গে লুজ মোশন বা পেট খারাপ, পেটে ব্যথা, বমি ইত্যাদি হলে দুটিকে একসঙ্গে সাধারণত কোল্ড ডায়রিয়া বলে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১২ শয্যায় ২১ জন রোগী : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গিয়ে দেখা গেছে, ১০০ শয্যার বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে ১২টি শয্যা। শীতের শুরুতেই বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা চিকিৎসা নিতে আসছেন এই হাসপাতালে। আর এমন স্বল্প পরিসরে (১২ শয্যার) সীমিতসংখ্যক জনবল দিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখানে প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ২০ জন রোগী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সাত দিনে বরিশাল সদর হাসপাতালে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৯৬ রোগী। এই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ডের মেঝেতে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দেখা যায়, ২১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ১২টি বেডের বাইরেও ৯ রোগীকে রাখা হয়েছে ওয়ার্ডের মেঝেতে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যা বলছেন : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়ার্ডের</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সিনিয়র স্টাফ নার্স শিল্পী রানী নাথ বলেন, ওয়ার্ডে ১২টি শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীদের ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বরিশাল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, ভবনের কাজ চলমান থাকায় ২০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডটিতে চারটি বেড প্রস্তুত ছিল। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার রোগী বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে আরো আটটি বেড সংযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই শীতে ব্যাপক হারে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ায় রোগীদের ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p>