ঈদের কেনাকাটা

জমে উঠেছে ঈদ বাজার

  • দেশীয় পোশাকের চাহিদা বেশি
  • দাম বেশি হলেও বিক্রেতারা বলেছেন গতবারের চেয়ে কম
  • দেশীয় পোশাককে বিদেশি ব্র্যান্ড বলে বিক্রি, জরিমানা অব্যাহত
প্রিয় দেশ ডেস্ক
প্রিয় দেশ ডেস্ক
শেয়ার
জমে উঠেছে ঈদ বাজার

সিয়াম সাধনার মাস রমাদানের পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই নতুন পোশাক। পোশাকের সঙ্গে আরো কত কী ঈদের কেনাকাটা। ঈদুল ফিতর যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে বেচাকেনা।

ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় বিপণিবিতানগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকে গভীর রাত, কোথাও কোথাও সাহরির আগ পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। বিস্তারিত কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের সরেজমিন প্রতিবেদনে :

চট্টগ্রাম : গত কয়েক দিন নগরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, জহুর হকার্স মার্কেট, নিউমার্কেট, জলসা মার্কেট, আমতলা থেকে সড়কের দুই পাশে (নিউমার্কেট মোড়) এবং আলকরণ থেকে পুরনো রেলস্টেশন সড়ক এবং ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড়। পাশাপাশি রেয়াজউদ্দিন বাজার, নিউমার্কেট, তামাকুমণ্ডি লেনেও হাঁটার জো নেই।

আবদুল করিম নামে এক যুবকের সঙ্গে কথা হয় নিউমার্কেটের বিপরীত পাশে বাটার শোরুমের নামে ফুটপাতের দোকানে। তিনি বলেন, চাকরিতে বেতন পাওয়ার পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। গতবারের চেয়ে দাম বেশি। দাম বেশি হলেও ঈদে নতুন পোশাক কিনলে খুব ভালো লাগে।
এ সময় নাম প্রকাশ না করে বিক্রেতা বলেন, দাম তেমন বাড়েনি। সামান্য বাড়লেও গতবারের চেয়ে কম আছে।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বিভিন্ন দেশীয় পোশাক। সেই সঙ্গে লং ড্রেস, গাউন, গারারা, সারারা, জর্জেট থ্রিপিস, গোলবাহার, গোলজান কিনছেন অনেকেই। গরমের বিষয়টি ভেবে লেহেঙ্গার পাশাপাশি বাহারি ডিজাইনের সুতি থ্রিপিসও কিনছেন তরুণীরা।

তরুণরা শার্ট, ফতুয়া, জিন্সের প্যান্ট, পাঞ্জাবি কিনছেন। নারীরা কিনছেন শাড়ির পাশাপাশি নানা ধরনের অলংকারও। এ ছাড়া বুটিক, ডিজাইন ও ফ্যাশন হাউসগুলোও বেশ জমজমাট।

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) : ফটিকছড়ি উপজেলায় কাপড়ের দোকানগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতার সমাগম বেশি। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ব্যবসায়ীরা তাঁদের মার্কেট ও দোকানগুলো বর্ণিল সাজে সাজিয়েছেন।

উপজেলা সদর বিবিরহাটের ফটিক প্লাজা, মীর জাহানারা কমপ্লেক্স, হক মার্কেট, এ কে সেন্টারে সবচেয়ে বেশি ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে কেনাকাটা করতে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশা ও বয়সের মানুষ। মা-বাবার সঙ্গে আসছে তাঁদের ছেলেমেয়েরাও।

ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রির পরিমাণও তত বাড়বে।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) : উত্তর জনপদের প্রবেশদ্বার সৈয়দপুর উপজেলা। বাণিজ্যপ্রধান সৈয়দপুর উপজেলার মানুষকে কেনাকাটার জন্য বাইরের কোনো শহরে যেতে হয় না।

সরেজমিনে মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবার হাতেই শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শপিং ব্যাগ। কারো হাতে পোশাক, কারো হাতে জুতা স্যান্ডেলের ব্যাগ। দৃশ্য দেখেই বোঝা যায় বেচাকেনা ভালো। সব দোকানেই ক্রেতাদের আনাগোনা।

চরফ্যাশন (ভোলা) : ক্রেতাদের অভিযোগ, এবারের ঈদে পোশাকের মূল্য একটু বেশি। পোশাক কিনতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন। তবে দোকানিরা বলছেন, ঘরভাড়া লাইটিং এবং কাজের লোকের কস্টিং বেশি, তাই একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন, জনগণের জানমাল নিরাপত্তার জন্য নিরলসভাবে কাজ চলছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নাটোরে পুকুর থেকে ৬ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
নাটোরে পুকুর থেকে ৬ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

নাটোর শহরের পুরাতন থানার পাশে একটি পুকুর থেকে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে শহরের কান্দিভিটা এলাকার তালাব পুকুর থেকে এই অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার বিকেলে তালাব পুকুরে মাছ ধরার সময় জালে কম্বলে মোড়ানো একটি বস্তার মতো বস্তু উঠে আসে। সেটিকে ওপরে তুলে কম্বল খুলে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়।

পরে নাটোর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পুকুরে তল্লাশি চালায়। এ সময় আরো চারটি শটগান উদ্ধার করা হয়। নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিলী শারমিন সুলতানা নেলি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ এবং ফায়ার ব্রিগেডের সহায়তায় ডুবুরি দল পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে চারটি শটগান এবং জেলের জালে একটি একনলা বন্দুক ও একটি এয়ারগান উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য

বরিশালে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শেয়ার
বরিশালে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পাতারহাট বন্দরের স্টিমারঘাট লঞ্চঘাট এলাকায় নোঙর করা এমভি সায়মুন-১ নামের একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার ভোররাতের দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে  লঞ্চের অবকাঠামোর ওপরের একটি অংশ পুড়ে যায়।

তবে এই অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. আলী আশরাফ জানান, রাত ৩টার দিকে ৯৯৯-এ কল আসে স্টিমারঘাটে নোঙর করা লঞ্চে আগুন লেগেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে, মাস্টার কেবিনের মশার কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

 


 

মন্তব্য

গায়ে কেরোসিন ঢেলে যুবকের আত্মহনন

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
গায়ে কেরোসিন ঢেলে যুবকের আত্মহনন

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পাওনা টাকা দিতে না পেরে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কেশব কর্মকার নামের এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পালপাড়া এলাকায়। নিহত কেশব কর্মকার (৪৫) উপজেলার পালপাড়া এলাকার ভানু কর্মকারের ছেলে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কেশব কর্মকার কালিয়াকৈর বাজারে জুয়েলারি ব্যবসা করতেন।

ব্যবসা করতে গিয়ে তিনি বিভিন্নভাবে ঋণে জর্জরিত হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মানুষের পাওনা টাকা দিতে না পেরে গত ১৮ মার্চ নিজের গায়ে নিজে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কেশব কর্মকার মারা যান।

মন্তব্য

গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ছয় বছরের শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক মা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বীরগঞ্জ উপজেলার ১১ নম্বর মরিচা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্লভপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজন এবং পুলিশ জানায়, সন্ধ্যার সময় মা ববিতা রানী (২৫) তাঁর মেয়ে তন্বী রানী রায়কে (৬) নিয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খান।

এ সময় বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে তাদের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা-মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় পরিবারের লোকজন শিশুটির লাশ নিয়ে চলে যায়। পরে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল গফুর বলেন, গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে মৃত্যু হয়েছে, এটা আমরা জেনেছি। কিন্তু কী কারণে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছেন, তা এখনো জানতে পারিনি। মা-মেয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ