<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বছরজুড়ে খেলাপি ঋণ লাগামছাড়া ছিল। ২০২৪ সালে আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে খেলাপি ঋণ। পাশাপাশি বছরজুড়ে মুদ্রা বাজারে ছিল ব্যাপক অস্থিরতা। ফলে দুর্বল হয়েছে ব্যাংক এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। দেশের ব্যাংক খাতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। বিগত সরকারের দুর্নীতির ছাপ কিছুটা স্পষ্ট হওয়ায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সেই খেলাপি দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায় পৌঁছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, তখন দেশে মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত ১৫ বছরে খেলাপি ঋণ প্রায় ১২ গুণ বেড়েছে। খেলাপি ঋণ কমাতে নানা লক্ষ বেঁধে দেওয়া হলেও তাতে তেমন সাড়া মিলছে না, বরং নতুন নতুন ঋণখেলাপির ঝুঁকিতে পড়ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, বংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে খেলাপি ঋণের যে পরিসংখ্যান দেখানো হয়েছে, তা প্রকৃত সংখ্যা নয়। খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ আরো বেশি। বিভিন্ন অবৈধ সুবিধার আড়ালে এত দিন খেলাপি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সেগুলো বেরিয়ে আসছে। বাংলাদেশের প্রকৃত খেলাপি ঋণ পাঁচ লাখ কোটি টাকার ওপরে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে দেশে দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ নানামুখী চাপে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমে এসেছে স্থবিরতা। মুনাফার বিপরীতে ব্যয়ের বোঝা বেড়ে যাওয়ায় সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে। এই পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। এটাও খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির একটি কারণ বলে মনে করেন তাঁরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">. মইনুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">“</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার উত্খাত হওয়ার পর ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ও পুঁজি পাচার সম্পর্কে যেসব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ হচ্ছে, সেগুলো পুরো জাতিকে স্তম্ভিত করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ক্লাসিফায়েড লোনের (খেলাপি ঋণের) সর্বশেষ হিসাব প্রকাশ করেছে। এই হিসাবে ক্লাসিফায়েড লোনের পরিমাণ দুই লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। কিন্তু এটা খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ নয়। কারণ অর্থঋণ আদালত, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খেলাপি ঋণের যেসব মামলা বছরের পর বছর বিচারাধীন, সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত ক্লাসিফায়েড লোনের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। এ রকম খেলাপি ঋণের পরিমাণ এরই মধ্যে আড়াই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে যে পুরনো মন্দ ঋণগুলো </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাইট অব</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বা অবলোপন করা হয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, সেগুলোও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত ক্লাসিফায়েড লোনের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। আমরা জানি, রাইট অব করা মন্দ ঋণের পরিমাণও কয়েক মাস আগেই ৬৫ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। এই দুটি ক্যাটাগরির খেলাপি ঋণ বিবেচনায় নিলে এর প্রকৃত পরিমাণ পাঁচ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আমি মনে করি, সব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে অচিরেই একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হোক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">”</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডলার বাজারে অস্থিরতা</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডলার বাজারের অস্থিরতায় ২০২৪ সালজুড়ে অসহায় ছিলেন ব্যাংক ও ব্যবসায়ীরা। প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১০ টাকায় বছর শুরু হলেও ১২৪ টাকায় পৌঁছেছে বছর শেষে। ২০২২ সালের মার্চে শুরু হওয়া ডলার সংকট চলতি বছরেও পুরোপুরি দেখা গেছে। তবে চলতি বছরে আগের মতো ডলারের দাম ধরে না রেখে ধীরে ধীরে তা বাজারভিত্তিক করার দিকে নেওয়া হয়েছে। এতে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১৭ টাকা হলেও ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলার কিনছে ১২২ থেকে ১২৩ টাকা দামে। ফলে এর চেয়ে বেশি দামে আমদানিকারকদের কাছে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুদ ২০ বিলিয়ন ডলারে অবস্থান করছে। এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের শেষে ছিল ২৬ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের সর্বোচ্চ পতন দেখা গেছে ২০২৪ সালের ১৪ মে। ওই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (বিপিএম-৬) ছিল ১৮.২৬ বিলিয়ন ডলার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫ আগস্ট সরকার পতনের পর প্রথমবারের মতো অস্থিরতা দেখা দিয়েছে ডলার বাজারে। তবে গত চার মাস ডলার বাজার স্থিতিশীল ছিল। চলতি ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অন্তত চার টাকা বেড়েছে বলে বাজারের সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, বছর শেষে আমদানির দায় পরিশোধের চাপ তৈরি হয়। ডিসেম্বরে শেষ হয় একটি বড় অংশের এলসির মেয়াদ। তাই বেশি দামে ডলার কিনে আমদানি দায় পরিশোধ করছে ব্যাংকগুলো। তার প্রভাবে খোলাবাজারেও এখন ডলারের দাম চড়া।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, ডিসেম্বরের শুরুতে পুরনো আমদানি দায় পরিশোধের জন্য সরকারি খাতের কয়েকটি ও বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংক বেশি দামে প্রবাস আয়ের ডলার কিনতে শুরু করে। এতে অন্য ব্যাংকগুলোও বেশি দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়। ডিসেম্বরের আগে তারা প্রবাসীদের কাছ থেকে প্রতি ডলার কিনত ১২১ থেকে ১২২ টাকায়। এখন তা বেড়ে ১২৭ টাকা ৫০ পয়সায় উঠেছে। ব্যাংকে নগদ ডলার এখনো ১২৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেডিট কার্ডসহ অন্যান্য কার্ডে ডলারের দাম ১২৩ টাকা রাখা হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, রাজধানীর খোলাবাজারে প্রতি ডলার কেনা হচ্ছে ১২৬ টাকা ৭০ পয়সায়, আর বিক্রি হচ্ছে ১২৭ টাকা ৫০ পয়সায়। মাত্র ১০ দিন আগেও খোলাবাজারে ১২২ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কেনা হয়েছে। তখন ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৩ টাকায়। মূলত দুটি কারণে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়েছে বলে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান। প্রথমত, বিদেশগামী যাত্রীদের কাছে ডলারের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কারণ, ডিসেম্বরে অনেকেই ছুটি কাটাতে বিদেশে যাচ্ছেন। তাঁদের বাড়তি চাহিদা মেটাতেও ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত দামে প্রবাস আয় কিনছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডলার বিক্রি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, আমানতের মন্থর গতি, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, হাতে নগদ টাকার সংরক্ষণ বৃদ্ধি ও ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণের কারণে ২০২৪ সালে চরম তারল্য সংকটে পড়ে ব্যাংকগুলো। বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগস্ট মাসে সরকার পরিবর্তনের পর সেই তারল্য সংকট আরো তীব্র হয়। সর্বশেষ গ্যারান্টি সহায়তার মাধ্যমে দশ ব্যাংক ধার দিতে এগিয়ে আসে দুর্বল ব্যাংকগুলোর পাশে। তারই অংশ হিসেবে গত এক মাসে মোট ছয় হাজার ৮৫০ কোটি টাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার দিয়েছে ১০টি তুলনামূলক সবল ব্যাংক। পাশাপাশি ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংকট কাটাতে সব মিলিয়ে ২৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা সহায়তা পেয়েছে ব্যাংকগুলো।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নীতি সুদহার বৃদ্ধি</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বছরের শুরু থেকেই নীতি সুদহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। পলাতক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এটি সাড়ে ৮ শতাংশে রেখে যান। এরপর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর সাড়ে আট থেকে বাড়িয়ে তিন ধাফে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নীতি সুদহার বৃদ্ধির অর্থ হলো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত সুদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ করতে হবে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যে ঋণ দেয়, তার সুদহারও বাড়ে। নীতি সুদহার বেশি হলে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে নিরুৎসাহ হয়। এভাবে বাজারে অর্থের সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু গত দুই বছর যাবৎ মুল্যস্ফীতির পারদ চড়ছেই। পণ্যমূল্যে নাভিশ্বাস সাধারণ জনগণের। অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে উঠেছে। কারণ নীতি সুদহার বৃদ্ধির ফলে ব্যাংক থেকে ১৫ শতাংশের বেশি সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানিতে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেসরকারি ঋণ আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস উচ্চ</span></span></strong><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সুদের কশাঘাতে পিষ্ট ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। বড় ব্যবসায়ীদেরও হাঁসফাঁস অবস্থা। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ব্যাংক ঋণে আগ্রহী হচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ প্রকল্প কাটছাঁটসহ নানা উপায়ে বিনিয়োগ কমাচ্ছেন। সব মিলিয়ে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে বড় ধস নেমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।</span></span>  </span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদেশি ঋণ ১০৩ বিলিয়ন ডলার</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ বিদেশি ঋণে রেকর্ড ভেঙেছে। চলতি বছরের জুন শেষে দেশে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৩.৭৯ বিলিয়ন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (১০ হাজার ৩৭৯ কোটি) ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যাংক খাত সংস্কারে ১৩ উদ্যোগ</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫ আগস্ট ছাত্র</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের হাত ধরেই পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে আর্থিক খাতে। আর্থিক খাত ঢেলে সাজাতে বাংলাদেশ ব্যাংক পায় একজন নতুন গভর্নর। এরপর বিধ্বস্ত ব্যাংক ও আর্থিক খাত ঢেলে সাজাতে সাহসী পদক্ষেপ নিতে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন, আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কঠোর নজরদারির মাধ্যমে বাণিজ্যভিত্তিক অর্থপাচার রোধ, মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধিসহ আরো কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গত ছয় মাসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হলে খুব শিগগির আরো ইতিবাচক ফল আসবে বলে আশাবাদী গভর্নর। অল্প সময়ের মধ্যে ১১ ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন, একক গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণমুক্ত ব্যাংক খাত, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনা জামানতে প্রবাসীদের ঋণ, তিনবার নীতি সুদহার বৃদ্ধি, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ, আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, তিনটি টাস্কফোর্স গঠন, সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে ছয় ব্যাংককে সহায়তা, কঠোর নজরদারির মাধ্যমে বাণিজ্যভিত্তিক অর্থপাচার রোধ করার মতো উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে।</span></span></span></span></span></p>