<p>বিদ্যালয়ের দেয়ালে লেখা বিদ্যালয়ের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। অথচ সকাল ৯টার আগেই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বইপত্র নিয়ে উপস্থিত হলেও সকাল ১১টার আগে কোনো শিক্ষক বিদ্যালয়েই আসেন না। যার ফলে বিদ্যালয়ের গেট তালাবদ্ধ দেখে বাড়ি ফিরে যান অনেক শিক্ষার্থী।</p> <p>গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের রংচী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন এমন ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।</p> <p>ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে  ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে রয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার সময় স্থানীয় এক বাসিন্দা বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষকরা এসেছেন কি না জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা উত্তরে জানায়, কোনো শিক্ষক আসেননি। আর একই সময় শিক্ষকদের কক্ষ তালাবদ্ধ দেখা যায় ওই ভিডিওতে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘বঙ্গবন্ধু সেতুর নাম আবু সাঈদ সেতু রাখা হবে’, মন্তব্যটি কি উপদেষ্টা নাহিদের?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/14/1736834777-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘বঙ্গবন্ধু সেতুর নাম আবু সাঈদ সেতু রাখা হবে’, মন্তব্যটি কি উপদেষ্টা নাহিদের?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2025/01/14/1468525" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে রংচী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়, বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫৬ জন। তাদের পাঠদানের জন্য চারজন শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন।</p> <p>উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের রংচী গ্রামের বাসিন্দা শিহাব মিয়া বলেন, ‘ওই দিন বিদ্যালয়ে শিক্ষক না পেয়ে শিক্ষার্থীরা কয়েকজন বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিল। আমরা বাজারে বসা ছিলাম। তখন শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, কোনো শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেননি। পরে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি অনেক শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে আছে। তখন সময় বাজে সকাল সাড়ে ১০টা। বেশির ভাগ শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসতে চান না। এলেও শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে গড়িমসি করেন। বহিরাগত সোহাগ নামে একজনকে দিয়ে পাঠদান করান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহেন্দ্র চন্দ্র সরকার।’</p> <p>স্থানীয়রা জানান, এভাবে একটি বিদ্যালয় কখনোই চলতে পারে না। যারা বিদ্যালয় দেখার দায়িত্বে আছেন, তাদের অবশ্যই এ বিষয়টি দেখার অনুরোধ করছি। তা না হলে শিক্ষাব্যবস্থা এভাবেই এক দিন নষ্ট হয়ে যাবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাতে শীত কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/14/1736834233-c6d561165968ec55d14b6ab1f87c865a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাতে শীত কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2025/01/14/1468523" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহেন্দ্র চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আমি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসি। ওই দিন সহকারী শিক্ষক তাসলিমা আক্তার বেতন উত্তোলনের জন্য মধ্যনগর গিয়েছিলেন। সহকারী মুহিত রঞ্জন তালুকদার ১১টার পরে বিদ্যালয়ে আসেন।’</p> <p>উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ভারতের কুম্ভ মেলায় নজর কাড়ছেন অদ্ভুত যে সাধু বাবারা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/14/1736835426-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ভারতের কুম্ভ মেলায় নজর কাড়ছেন অদ্ভুত যে সাধু বাবারা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2025/01/14/1468527" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যদি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসতে গিয়ে গড়িমসি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’</p>