<p style="text-align:justify">যশোরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চৌগাছা উপজেলায় তিন দিনব্যাপী গুড়মেলা শুরু হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে গুড়মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।</p> <p style="text-align:justify">এসময় তিনি বলেন, খেজুর গাছ আজ অস্তিত্ব সংকটে। কৃষি পণ্য বা শিল্প পণ্য হিসেবে খেজুর গাছের রস ও গুড়ের চাহিদা থাকার কারণে এই গাছ রক্ষায় নতুন করে মানুষ জেগে উঠেছে। খেজুর গাছ চাষ, গাছকাটা, রস আহরণ ও গুড় উৎপাদন করা কষ্টসাধ্য। যারা এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।</p> <p style="text-align:justify">জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলে খেজুর গাছের রস ও গুড়ের সুনাম রয়েছে। আমাদের এই সুনাম ধরে রাখতে হবে। এই ঐতিহ্য দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। গুড় উৎপাদনের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদেরকে সবসময় সহযোগিতা করা হবে।</p> <p style="text-align:justify">আলোচনাসভার আগে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম গুড় মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি গাছিদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">মেলায় হয়াতপুর গ্রামের গাছি আব্দুল গাজী (৭০) জানান, খেজুর গাছ রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে এই গাছ নতুন করে লাগানোর মাধ্যমে খেজুর গাছ বৃদ্ধি করা সম্ভব।</p> <p style="text-align:justify">সাঞ্চডাঙ্গা গ্রামের গাছি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এত কষ্টের কাজ এখন কেউ করতে চায় না। বাপ-দাদার আমল থেকে গুড় তৈরি করি।</p> <p style="text-align:justify">মেলায় আগত লিয়াকত আলী, মিঠু ও আবুল কাশেম জানান, নতুন প্রজন্মরা এমন কষ্টের কাজ করতে চায় না। খেজুর গাছে উঠে গাছকাটা, রস নামানো, গুড় জ্বাল দেয়া খুব কষ্টের। তারা বলেন, সরকারিভাবে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে খেজুর গাছ টিকে থাকবে। একইসঙ্গে গুড় উৎপাদনে জড়িত গাছিরাও উৎসাহিত হবে।</p> <p style="text-align:justify">মেলায় ২৫টি স্টল অংশগ্রহণ করে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা।<br />  </p>