<p>দেশে শীত পুরোপুরিভাবে নেমে গেছে। এর সঙ্গে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর, গা ব্যথা লেগেই রয়েছে। শীত আর রোগের হাত থেকে বাঁচতে জীবাণুমুক্ত থাকার পাশাপাশি শরীর গরম রাখাটাও জরুরি। আর তার জন্য দরকার সঠিক খাবার। বিশেষ করে সকালের নাশতায় যদি পুষ্টিকর খাবার থাকে তাহলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনই শীতের আলস্য কাটিয়ে কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই সকালের নাশতায় কী রাখবেন তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন জেনে নিই-</p> <p><strong>গুড় মাখা চিড়ে</strong></p> <p>ঝোলা গুড় গরম করে তাতে নারকেল কুচি দিয়ে ভেজে চিড়ে মিশিয়ে নিন। স্বাদ বাড়াতে কাজু বা আমন্ডও দিতে পারেন। পুষ্টিতে ভরপুর এই গুড় পোহা পাচন শক্তি বাড়ায়। স্থির শক্তি থাকার ফলে রক্তের শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই ব্রেকফাস্ট।</p> <p><strong>বিটরুট চিলা</strong></p> <p>সাধারণত বেসন দিয়ে চিলা খেতেই সবাই অভ্যস্ত। এখন থেকে সেই বেসনে একটু বিটের রস দিয়ে দিন। বিট সিদ্ধ করে মিহি করে বেটে বেসন, অল্প পানি, লবণ ইত্যাদি দিয়ে চিলার মতো করে ফেটিয়ে নিন। ফ্রাইং প্যানে অল্প তেল গরম করে তাতে চিলা ভেজে নিলেই হলো। আরো স্বাদের জন্য এতে গাজর, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, পনিরের স্টাফিং-ও দিতে পারেন।</p> <p><strong>পালং পরোটা</strong></p> <p>পালং শাক হালকা ভাপিয়ে পানি দিয়ে বেটে আটার সঙ্গে মেখে ডো তৈরি করে ফেলুন। এতে কাঁচা মরিচ বাটা, রসুন বাটা ও পছন্দমতো মসলা দিতে পারেন। পালং শাকের ডো বেলে পরোটা গড়ে অল্প তেলে ভাজলেই পালং পরোটা তৈরি। শীতকালে পালং শাক খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো।</p> <p><strong>গাজরের হালুয়া</strong></p> <p>ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ গাজর চোখের পক্ষে খুব ভালো। উষ্ণ দুধ ও ঘি শরীরে শক্তি জোগায় এবং হজমে সহায়তা করে। গাজর গ্রেট করে ঘিয়ে ভেজে ঘন দুধে ফুটিয়ে চিনি এবং ড্রাই ফ্রুট দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গাজরের হালুয়া।</p> <p><strong>সবুজ স্মুদি</strong></p> <p>সবুজ শাক, ফল ও পছন্দমতো মসলা অল্প পানি দিয়ে মিক্সারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। রোজ এই স্মুদি খেলে রোগ আপনার ধারেকাছে আসবে না। ফলে শরীর হবে শক্তিশালী, বাড়বে হজমশক্তিও।</p> <p>সূত্র : এই সময়</p>