<p>আয়াতের অর্থ : ‘তোমার পূর্বেও অনেক রাসুলকেই ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হয়েছিল। পরিণামে তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত তা বিদ্রুপকারীদের পরিবেষ্টন করেছিল। বলো, রহমান থেকে কে তোমাদের রক্ষা করবে রাতে ও দিনে? তবু তারা তাদের প্রতিপালকের স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।...বোলো, আমি কেবল ওহি দ্বারাই তোমাদের সতর্ক করি, কিন্তু যারা বধির তাদের যখন সতর্ক করা হয়, তখন তারা সতর্কবাণী শোনে না। তোমার প্রতিপালকের শাস্তি কিছুমাত্রও তাদের স্পর্শ করলে তারা নিশ্চয়ই বলে উঠবে, হায়, দুর্ভোগ আমাদের, আমরা ছিলাম জালিম।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৪১-৪৬)</p> <p>আয়াতগুলোতে আল্লাহর দয়া, অনুগ্রহ ও ইনসাফের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. মহানবী (সা.)-এর ভেতর আল্লাহ সব নবী-রাসুলের উত্তম গুণাবলির সমন্বয় ঘটিয়েছেন। এ জন্যই তিনি নবী-রাসুলদের প্রধান।</p> <p>২. নবী-রাসুলদের নিয়ে বিদ্রুপ করা সব যুগের অবিশ্বাসীদের বৈশিষ্ট্য। তাদের শাস্তি দেওয়াও আল্লাহর চিরায়ত নিয়ম।</p> <p>৩. দিনরাতের সমূহ বিপদ থেকে আল্লাহই মানুষকে রক্ষা করেন। পার্থিব জীবনে অবিশ্বাসীরাও আল্লাহর এই দয়া থেকে বঞ্চিত নয়।</p> <p>৪. আল্লাহই সবচেয়ে ন্যায়পরায়ণ। কোরআনে আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতার ধারণা দেওয়া হয়েছে। যেন মানুষ তা অর্জনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।</p> <p>৫. কিয়ামতের দিন আল্লাহ দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করবেন। জিবরাইল (আ.) হবেন দাঁড়িপাল্লার ধারক। (তাফসিরে মুনির : ৯/৬৩)</p> <p> </p>