<p>‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের’ পক্ষে জনমত তৈরির জন্য জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। গতকাল বুধবার রাজধানী ঢাকাসহ আটটি জেলা ও দুটি মহানগরে লিফলেট বিতরণ করেন সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা। লিফলেটে তাঁরা ঘোষণাপত্রে সাতটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। লিফলেটের শুরুতে ‘জুলাইয়ের প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা!’ এবং লিফলেটের শেষে ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের রাজনীতিকে শক্তিশালী করুন’ লেখা রয়েছে।</p> <p>কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে জনসংযোগ, বিকেলে মোহাম্মদপুর ও যাত্রাবাড়ীতে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করা হয়। মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, মোহাম্মদপুরে নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, যাত্রাবাড়ীতে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>এ ছাড়া গতকাল ময়মনসিংহ ও খুলনা মহানগরে এবং কুমিল্লা, নরসিংদী, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লিফলেট বিতরণ এবং জনসংযোগ করা হয়।</p> <p>এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার বাংলামোটর মোড়ে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে কারওয়ান বাজার মোড় পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা। সেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন ছিলেন। কুমিল্লা নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করা হয়। এ সময় তিনি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি জানান।</p> <p>সাত দফাসংবলিত জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে এবং জনমত গঠনে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা মোড় থেকে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।</p> <p>ঘোষণাপত্রে সাত দাবি : জুলাই ঘোষণাপত্রে সাতটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে আন্দোলনে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনা মূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা, অভ্যুত্থানে হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা, ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করা এবং বর্তমান সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা।</p> <p> </p>