<p>তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীতে মাছ ধরতে না পারায় হতদরিদ্র মৎস্যজীবী পরিবারের জীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে।</p> <p>উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা নদী। ভয়াবহ নদীভাঙনে গত ৪৮ বছরে অসংখ্য পরিবার বসতবাড়ি হারিয়ে গৃহহীন হয়েছে। সর্বস্ব হারিয়ে কেউ মাতৃভূমি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে, আবার কেউ নাড়ির টানে নদীর পাড়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। বাঁধে বসবাসরত অধিকাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য যমুনায় মাছ ধরেন।</p> <p>কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে পুরো এলাকা। সূর্যের দেখা নেই। কুয়াশার বৃষ্টি আর কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যমুনা নদীতে মাছ শিকার করা মৎস্যজীবীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দিন-রাতের ঠান্ডায় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছেন।</p> <p>মৎস্যজীবীদের নৌকা শহড়াবাড়ি ঘাটে নিরাপদ স্থানে রাখা রয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে রাতের বেলায় নদীতে নৌকা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নদীর দিক নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ায় মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় প্রায় ২০০ মৎস্যজীবী পরিবার চরম কষ্টে দিন পার করছে।</p> <p>সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাছ শিকারিরা নদীতে মাছ ধরতে পারছেন না। এ অবস্থায় তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বানিয়াজান গ্রামের হিরণ কুমার, পরিমল চন্দ্র হাওলাদার, ভান্ডারবাড়ির নিবারণ চন্দ্রসহ অনেক মৎস্যজীবী জানিয়েছেন, তীব্র ঠান্ডার কারণে তারা কয়েক দিন ধরে মাছ ধরতে পারছেন না। ঋণের টাকায় কোনো রকমে সংসার চালাতে হচ্ছে।</p> <p>ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি বাজারের পাইকারি আড়তদার হরিলাল কুমার জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেদের মাছ ধরার কাজ বন্ধ থাকায় বাজারে মাছের আমদানিও অনেক কমে গেছে।</p> <p>যমুনা পাড়ের এই মৎস্যজীবী পরিবারগুলো শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সরকারি বা বেসরকারি সাহায্যের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সহযোগিতা পৌঁছায়নি।</p> <p><br />  </p>