<p>কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। </p> <p>আহত ব্যক্তির আব্দুল লতিফ (৬০) যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি চর এতমামপুর গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে। মঙ্গলবার যদুবয়রা ইউনিয়নের যদুবয়রা পুরাতন বাজারে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। </p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাড়িতেই শুয়ে আছেন লতিফ। তার মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা। পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষত। </p> <p>লতিফের স্বজনরা জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে যদুবয়রা পুরাতন বাজারে চা পানের সময় যদুবয়রা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শামিম হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আনিসুর রহমান, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রিপন আলীসহ ১৫-২০ জন লাঠিসোঁটা ও হাতুড়ি নিয়ে লতিফের ওপর হামলা করেন। </p> <p>তারা আরো জানায়, এই মারধরে লতিফের মাথার কয়েক স্থান এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে। আবার হামলা হতে পারে সেই ভয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাননি।</p> <p>দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে লতিফের ছেলে আশরাফুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ করার অপরাধে বিএনপির লোকজন আমার বাবাকে মারধর করেছে।’</p> <p>প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার রাতে কয়েক স্থানে হামলা করে। এতে লতিফ এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক রনজু মাস্টার ও মাফিন আহত হন।’</p> <p>অভিযোগ অস্বীকার করে শামিম হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ৫০-৬০ জনের মোটরসাইকেলের একটি বহর ছিল। বহর নিয়ে এনায়েত বাজারে পৌঁছে শুনলাম, মারামারি হয়েছে। কে বা কারা করেছে তা জানি না।’ </p> <p>অভিযোগ অস্বীকার করে আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। কারা মারামারি করেছে তা জানি না।’ </p> <p>অভিযোগ অস্বীকার করে রিপন আলী বলেন, ‘বাজারে গিয়ে দেখি, স্থানীয় লোকজন একজনকে মারধর করছে। কাউকে চিনি না। রাতে যদুবয়রাতে উত্তেজনা ছিল।’</p> <p>কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>