<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটনে বিধি-নিষেধ আরোপের ফলে লাখ লাখ মানুষ কাজ হারাবে এবং উদ্যোক্তারা সর্বস্বান্ত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন ও পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে সেন্ট মার্টিনে কোনো পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। আর ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দিনে দুই হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ এবং রাত্রিযাপন করতে পারবেন। আর ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্ট মার্টিনে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ থাকবে। এতে পর্যটনশিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাধারণ উদ্যোক্তারা সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মো. রাফেউজ্জামান বলেন, সেন্ট মার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস করে। তারা সবাই পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। সেন্ট মার্টিনে পর্যটন সীমিত করা হলে অথবা বন্ধ করা হলে তারা সবাই বেকার হয়ে যাবে। একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের আর্থিক বিনিয়োগ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে। তাই আগামী দুই দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে পর্যটকদের জন্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণকে নির্বিঘ্ন ঘোষণা করার জোরালো দাবি জানান তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে চাই। তবে পর্যটন বন্ধ করে নয়, বরং পরিবেশের অনুকূলে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। দাবি আদায়ে ঐতিহাসিক শাহবাগে আমাদের রাজপথের কর্মসূচি শুরু হলো। দুই দিনের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। তবে রাত্রিযাপনসহ যাবতীয় বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করে পর্যটন চালু রাখতে হবে এবং টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে বিকল্প পথ তৈরি করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাঁর মতে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। দ্বীপের লোনা পানিকে মিঠা পানিতে পরিণত করতে পানি শোধনাগার কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। পচনশীল বর্জ্য পরিশোধন করে বায়োগ্যাসে পরিণত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্বীপে জেনারেটর ব্যবহার বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন করতে হবে এবং ইট, বালু, সিমেন্ট, রডের মাধ্যমে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এই দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হলে জনমনে সন্দেহ ও সংশয় সৃষ্টি হবে এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপবাসীসহ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও বৃহৎ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়বে। অসংখ্য পেশাজীবী তাঁদের চাকরি হারাবেন এবং লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে, যা ওই অঞ্চলে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। ফলে সামগ্রিক ক্ষতি বিবেচনায় সরকারকে আমরা এ ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>