<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৭১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে ১০৯তম সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী। শাস্তির আওতায় আসা শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত ২৮ অক্টোবর একই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডলসহ সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এবং আবু সাঈদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ৭২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন বাদে বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রত্ব শেষ এমন ১৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার এবং ২৩ জনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, গত বছরের ১৬ ও ১৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনরত আহত শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ ও তাদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনায় করা হবে মামলা। এরই মধ্যে আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে শাস্তির আওতায় আসা শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেরদৌস রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের তালিকা হয়েছে। তবে এখনো প্রশাসনের স্বাক্ষর হয়নি। খুব দ্রুত স্বাক্ষর হবে বলেও জানান তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকত আলী বলেন, গত শনিবার রাতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গতকাল অনুষ্ঠিত ১০৯তম সিন্ডিকেট সভায় এসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শহীদ আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যেন কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসন সর্বদা তৎপর রয়েছে।</span></span></span></span></span></p>