সার্ভার সচল না থাকায় এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সব ধরনের কার্যক্রম। অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর (এভিআর) পুড়ে যাওয়ায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির সার্ভার। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জরুরি প্রয়োজনে বিদেশ গমনেচ্ছু যাত্রী ও পাসপোর্ট সেবাপ্রত্যাশী হাজার হাজার মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের পাসপোর্ট অফিসের আওতায় থাকা একটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়।
এরপর বিদ্যুৎ বারবার আসা-যাওয়া করতে থাকে এবং ভোল্টেজ ওঠানামা করে। এ কারণে পুড়ে যায় পাসপোর্ট অফিসের এভিআর মেশিনটি। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে বিকল হয়ে যায় অফিসের পুরো সার্ভার। বিষয়টি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে সেখান থেকে প্রকৌশলীরা আসেন চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক কার্যালয়ে। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরও সচল করা যায়নি এভিআর।
গত মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটকে লেখা আছে ‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে সার্ভার পুড়ে গিয়েছে বিধায় সকল কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ।’
পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, বারবার চেষ্টার পরও সচল হয়নি এভিআর মেশিনটি। প্রতিদিন ২০০-৩০০ বিদেশ গমনেচ্ছু ও পাসপোর্ট সেবাপ্রত্যাশী মানুষ চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এসে সেবা না পেয়ে হতাশ হয়ে ঘুরে যাচ্ছে।
এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। কবে নাগাদ সর্ভার সচল হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ঢাকা থেকে পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে আসা সুজন আলী নামের এক সেবাপ্রত্যাশী বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে এসেছি শুধু আমার পাসপোর্টটি ডেলিভারি নিতে। অফিসে এসে শুনছি সব কার্যক্রম বন্ধ আছে। এত দূর থেকে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হলো।
’
আলমডাঙ্গা থেকে পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে আসা আহসান হাবিব নামের আরেক সেবাপ্রত্যাশী বলেন, ‘পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি। কিন্তু বিষয়টি আগে থেকে জানতে পারলে আর কষ্ট করে আসতে হতো না।’
জীবননগর থেকে আসা ইমরান হোসেন নামের আরেক সেবাপ্রত্যাশী বলেন, ‘আমার পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে, তাই থানায় জিডি করব। আমার কাছে পাসপোর্ট নম্বর আছে, কিন্তু ইস্যু তারিখ ভুলে গেছি। তাই ইস্যুর তারিখ জানার জন্য এসেছি। কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে। আবার কবে আসতে হবে, সেটিও ঠিক করে কেউ বলতে পারছেন না।’
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এভিআর মেশিন বিকল হয়ে গেছে। ফলে পাসপোর্ট অফিসের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের প্রকৌশলীরা এসে পর্যবেক্ষণ করে গেছেন। বারবার চেষ্টা করেও তা এখনো সচল হয়নি। তবে শিগগিরই ঢাকা থেকে প্রকৌশলীদের একটি টিম আসার কথা রয়েছে।’