<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের ছোড়া ছররা গুলিতে মারাত্মক আহত হয় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাদরাসা ছাত্র মো. ফয়েজ আলম। তার সারা দেহে বিদ্ধ হয় ৪০টি ছররা গুলি। এর মধ্যে একটি ছররা গুলি কেড়ে নেয় তার ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি। হতদরিদ্র ওই মাদরাসা ছাত্র এখনো হাসপাতালের বিছানায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই বিপ্লবে দূরসম্পর্কের এক মামার বাসা সানারপাড় এলাকায় থেকে রাজধানীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যুক্ত হয় ফয়েজ আলম। ১৮ জুলাই রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় আন্দোলনকালে পুলিশের ছোড়া ছররা গুলিতে মারাত্মক আহত হয় এই ছাত্র। ওই গুলিতে আহত হয়েই পাল্টে যায় তার জীবনধারার গতিপথ। বছরের শেষে সহপাঠীরা যখন পরীক্ষার হলে, আর সে হাসপাতালের বিছানায় অপেক্ষার প্রহর গুনে নীরবে চোখের পানি ঝরাচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আহত ফয়েজ আলম জানায় সেই দিনের লোমহর্ষক ঘটনা। ১৮ জুলাই যখন অন্য ছাত্রদের সঙ্গে সে-ও সাইনবোর্ড এলাকায় যায়; হঠাৎ বৃষ্টির মতো ছররা গুলি ছুড়তে থাকে পুলিশ। এক পর্যায়ে মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। সঙ্গে থাকা অন্য আন্দোলনকারীরা তাকে উদ্ধার করে সাইনবোর্ডের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করায়। ওই হাসপাতালে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের তোপের মুখে চিকিৎসা নিতে পারেনি ফয়েজ আলমসহ অন্য আহতরা। অবশেষে দূরসম্পর্কের মামার সানারপাড়ার বাসায় টানা ১৮ দিন চিকিৎসা নেয়। ওই সময়টায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন পার করে ফয়েজ। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৭ আগস্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয় সে। সেখানে চলে তার উন্নত চিকিৎসা। সব চিকিৎসার পর বাঁধ সাধে ডান চোখ। ওই চোখের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের ১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ফয়েজ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আহত ফয়েজ আলম বলে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টানা ১৮ দিন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে আমার প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে এক খালা থেকেই নিয়েছি এক লাখ টাকা। বাকি টাকা ধারদেনা করে চিকিৎসায় খরচ করেছি। জুলাই বিপ্লব ফাউন্ডেশন থেকে ৫০ হাজার টাকা পাই। ওই ৫০ হাজার টাকা ঋণমুক্ত হয়েছি। এখন সব চিকিৎসা খরচ সরকারের পক্ষ থেকে করলেও প্রথম দিকের চিকিৎসায় ঋণ আছি আরো দেড় লাখ টাকা। আমার এই ঋণ শোধ করব কিভাবে কিছুই বুঝতেছি না। আমার চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>