<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বড় ভাই কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী আর বোন বাকপ্রতিবন্ধী। নিজে পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। বাবা রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ করে চালাচ্ছেন সংসার। স্বল্প আয়ে সংসার চালিয়ে ভাই-বোনের পড়াশোনার খরচ কুলিয়ে উঠতে পারেন না দিনমজুর বাবা। বাবার হাড়ভাঙা খাটুনির এই বিষয়টি বেশ ভাবায় ছোট্ট স্কুল শিক্ষার্থীকে। নিজে স্বাবলম্বী হয়ে চালাতে চায় নিজের পড়াশোনার খরচ। তাহলে বাবার খরচের বোঝাটা অনেকটাই লাঘব হবে। এই ভাবনাগুলো সদর উপজেলার বিনোদপুর এলাকার হায়দার সুন্নামাতের মেয়ে লামিয়া আক্তারের। ২০ নারীর সঙ্গে তারও স্বপ্ন পূরণ করতে এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে এখন মেশিনের আয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সংকল্প লামিয়ার।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লামিয়া আক্তার বলে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাবা একা মানুষ। তার রোজগারে আমাদের দুই ভাই-বোনের পড়াশোনার খরচ চালাতে অনেক কষ্ট হয়। আমি সব সময় চিন্তা করতাম কিছু করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালাব আর বাবাকে সাহায্য করব। আজ আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে। আমি বসুন্ধরার পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিনা টাকায় সেলাই মেশিন পেয়েছি। এই মেশিন চালিয়ে এখন আমার নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই চালাতে পারব। বাড়তি যেই আয় হবে, সেই টাকা বাবার হাতে তুলে দেব। আমার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য বসুন্ধরাকে ধন্যবাদ জানাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>