<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভিন্ন সরকার ঢালাওভাবে প্রচার করে আসছে যে বাংলাদেশি কর্মীরা ১৬৮টি দেশে কাজ করছেন। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে প্রতিবছর বেশির ভাগ কর্মী অভিবাসিত হয়ে থাকেন মাত্র ১০টি দেশে। গত পাঁচ বছরে ৯৭ শতাংশ কর্মী ১০টি দেশেই গেছেন। এমনকি চলতি বছর যাওয়া কর্মীর ৯০ শতাংশ মাত্র ছয়টি দেশে অভিবাসিত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করে অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু)।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রামরুর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ সৌদি আরব গেছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় ১০.৩০ শতাংশ, কাতারে ৭.৫৬ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ৫.৭৬ শতাংশ, ইউএইতে ৫.২০ শতাংশ ও জর্দানে ১.৫৪ শতাংশ কর্মী গেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রামরু বলছে, অর্থনৈতিক অস্থিরতায় অভিবাসন ৩০ শতাংশ কমে গেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৫৫ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। এটি ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ৩০.৮০ শতাংশ কম।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত এক বছরে বিদেশে নারী কর্মী যাওয়া ২২ শতাংশ কমে গেছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে নভেম্বর পর্যন্ত নারী কর্মীর অংশগ্রহণ ২২ শতাংশ কমেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৬৯৬ জন নারীকর্মী বিদেশে গেছেন। অর্থাৎ এই সময়ে মোট অভিবাসীর ৬.৩ শতাংশ ছিলেন নারী কর্মী। কভিডের সময় বাদ দিলে গত ১০ বছরে এটি নারী অভিবাসনের সর্বনিম্ন রেকর্ড। শোভন কর্মক্ষেত্রের অনিশ্চয়তার কারণে নারী কর্মীরা ক্রমেই অভিবাসনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আগের বছরগুলোর মতোই এ বছরও জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সর্বাধিকসংখ্যক নারী কর্মী সৌদি আরবে অভিবাসিত হয়েছেন। চলতি বছর সৌদি আরবে গেছেন ৩৫ হাজার ৫৩৮ জন। জর্দানে গেছেন দুই হাজার ১২৪ জন। এ ছাড়া কাতার, যুক্তরাজ্য, ইউএই, কুয়েত, হংকং, জাপানেও নারী কর্মী অভিবাসিত হয়েছেন। তবে হংকং, জাপান ইত্যাদি দেশে যাওয়া নারী কর্মীর সংখ্যা নগণ্য।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রামরুর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে যাঁরা কর্মের উদ্দেশ্যে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৪.৫৯ শতাংশ পেশাজীবী, ২৩.৬২ শতাংশ দক্ষ, ১৭.৫৬ শতাংশ আধাদক্ষ ও ৫৪.২৩ শতাংশ স্বল্প দক্ষ কর্মী রয়েছেন। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পেশাজীবী কর্মীর সংখ্যা সব সময় সামান্য ছিল। এ ছাড়া এ বছরের প্রথম সাত মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৫.২ বিলিয়ন ডলার। আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ছিল ৯.২২৩ বিলিয়ন ডলার। গত ১১ মাসে রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৬.৪ বিলিয়ন ডলার। এটি গত বছরের চেয়ে ৩২.৫৪ শতাংশ বেশি। তবে যেসব দেশে অভিবাসন বেশি হয়েছে, সেসব দেশ থেকে রেমিট্যান্স বাড়েনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রামরুর পরিচালক মেরিনা সুলতানা, সিনিয়র অফিসার মো. পারভেজ আলম প্রমুখ।</span></span></span></span></span></p>