<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমলাতন্ত্র রাষ্ট্র পরিচালনার একটি অপরিহার্য অঙ্গ। প্রাচীনকাল থেকেই সরকারের নীতি বাস্তবায়ন ও পরামর্শ প্রদানের জন্য কিছু ব্যক্তি নিয়োগপ্রাপ্ত হতেন। আধুনিক বিশ্বে নানা সংস্কারের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা আরো সমৃদ্ধ অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। এই আমলা বা সিভিল সার্ভেন্ট ছাড়া কোনো দেশের পক্ষেই সরকার পরিচালনা সম্ভব নয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমলা আরবি শব্দ, যার অর্থ আদেশ পালন ও বাস্তবায়ন। শব্দগতভাবে তাই যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারের আদেশ পালন ও বাস্তবায়ন করেন, তাদের আমলা বলে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন নীতি প্রণীত হয়, কিন্তু মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করেন এই আমলারা। দক্ষ আমলা নিয়োগের নিমিত্তে বাংলাদেশে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার নাম পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে পিএসসির অধীনে বর্তমানে ২৬টি ক্যাডার সার্ভিস রয়েছে, যাদের কার্যক্রম ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরে। কিন্তু নিয়োগের বাছাই পদ্ধতিতে খুব বেশি ভিন্নতা নেই। সাধারণ ১৪টি ক্যাডারের সব স্তরের প্রশ্ন একই। বাকি ১২টি পেশাগত ক্যাডারের প্রশ্নে সামান্য ভিন্নতা রয়েছে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বছরের নির্দিষ্ট সময় পিএসসি কর্তৃক বিসিএস পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য দরখাস্ত আহবান করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে যোগ্য প্রার্থীদের সবাই ২০০ নম্বরের প্রশ্নে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ পান। সবার প্রশ্ন থাকে এক ও অভিন্ন। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি সমতার দৃষ্টান্ত মনে হলেও এটি কতটা যৌক্তিক, তা ভেবে দেখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাধারণ ক্যাডারপ্রার্থীকে যেমন প্রিলিমিনারিতে ৭০ নম্বরের ভাষা ও সাহিত্য, ৫০ নম্বরের বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক, ১০ নম্বরের ভূগোল, ১৫ নম্বরের বিজ্ঞান, ১৫ নম্বরের কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি, ৩০ নম্বরের গণিত ও মানসিক দক্ষতা, ১০ নম্বরের নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন বিষয়ে পরীক্ষায় বসতে হয়; ঠিক একইভাবে একজন পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীকেও সেই পরীক্ষায় বসতে হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের বসতে হয় ২০০ নম্বরের বাংলা, ২০০ নম্বরের ইংরেজি, ২০০ নম্বরের বাংলাদেশ, ১০০ নম্বরের আন্তর্জাতিক, ১০০ নম্বরের গণিত ও মানসিক দক্ষতা এবং ১০০ নম্বরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরীক্ষায়। একইভাবে একজন পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীকেও সেই পরীক্ষাগুলোতে বসতে হয়। ব্যতিক্রম শুধু এখানে যে তাদের বাংলা ২০০-এর পরিবর্তে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয় এবং ১০০ নম্বরের বিজ্ঞানের পরিবর্তে ২০০ নম্বরের বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা দিতে হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী তার বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের মধ্যে শতভাগ নম্বর পেলেও উত্তীর্ণ হবেন না, যদি না তিনি অন্য বিষয়গুলোতেও   এগিয়ে থাকেন। এমনকি নিজ বিষয়ে একজন দক্ষ গবেষক হলেও প্রিলিমিনারিতেই উত্তীর্ণ হতে পারবেন না, যদি না তিনি প্রিলিমিনারির সিলেবাসভুক্ত বিষয়গুলোতে ভালো নম্বর পান।     </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত ভাইদের দেখেছি, তাদের একাডেমিক পড়াশোনা, ব্যাবহারিক, এমনকি ইন্টার্নশিপের ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করতে হয় এসব বিষয় পড়ার জন্য। যে ছেলে অথবা মেয়েটার চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণা অথবা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করার কথা ছিল, তাকেও বাধ্য হয়ে বসতে হয় সাধারণ জ্ঞান, সাহিত্য প্রভৃতি বই নিয়ে। শুধু রাষ্ট্রীয় সিস্টেমের জাঁতাকলে পড়ে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিকিৎসাবিজ্ঞানের জ্ঞান দিয়ে কী হবে, যদি না বিসিএসে টিকতে পারে? বিসিএসে না টিকলে সমাজ সেই চিকিৎসককে মূল্যায়নও করতে চায় না। তখন একজন চিকিৎসাশাস্ত্রের শিক্ষার্থীরও বুদ্ধিমানের কাজ হয়ে দাঁড়ায় নিজ বিষয়ের চেয়ে বাকি বিষয়গুলোতে ফোকাস করা!  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার আসি শিক্ষকের ক্ষেত্রে। একজন গণিতের ছাত্র, গণিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াডে পদকজয়ী, আন্তর্জাতিক জার্নালে একাধিক গবেষণা প্রবন্ধ আছে, ক্লাসে পাঠদানে পটু প্রভৃতি গুণ থাকলেও তিনি সরকারি কলেজে গণিতের শিক্ষক হওয়ার যোগ্য হবেন না, যদি না বিসিএস পরীক্ষায় গণিতের বাইরে অন্য বিষয়গুলোতেও ভালো নম্বর পান। গণিতের চেয়ে অন্য বিষয়গুলোতে বেশি গুরুত্ব না দিলে তিনি প্রাথমিক বাছাইয়েই বাদ পড়বেন। কারণ ২০০ নম্বরের মাঝে একজন গণিতের শিক্ষককেও প্রাথমিক নির্বাচনের একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখানে কেবল গণিতের শিক্ষক নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরা হলো। কিন্তু একই চিত্র সব বিষয়ের ক্ষেত্রেই। তাহলে একজন শিক্ষার্থী কোন স্বার্থে তার পঠিত বিষয়ে দক্ষ হওয়ার প্রেষণা লাভ করবে? আবার রাষ্ট্রই বা কিভাবে একজন দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ শিক্ষক পাবে? </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একজন শিক্ষকের নিজ বিষয়ের চেয়ে অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া কি খুবই জরুরি? নিজ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের চেয়ে সব বিষয়ে ভাসা ভাসা জ্ঞান কি শ্রেণিকক্ষে খুবই দরকার? আমাদের এই সিস্টেম কি বেশি মেধাবী শিক্ষক নিয়োগে বেশি সহায়ক? আমরা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘Jack of all trades, master of none’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর মতো কোনো নীতির দিকে ধাবমান কি না, সেটি ভেবে দেখার মনে হয় সময় হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই ঘটনা শুধু পিএসসির নিয়োগের ক্ষেত্রেই না। বাংলাদেশের বেশির ভাগ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায় একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠানের গবেষক নিয়োগেও যখন এ ধরনের প্রশ্নপদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, তখন ভাবনা জাগে যে আমরা আদৌ কি কোনো গবেষক সৃষ্টির চেষ্টা করছি?  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা কর্মকর্তা পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে লেখা, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রার্থীর ইংরেজি ভাষায় লিখিত ও বাচনিক, ডিজিটাল লিটারেসি, গবেষণাপদ্ধতি, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">communication skill </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শিতা থাকতে হবে এবং এসব বিষয়ে প্রার্থীকে লিখিত, মৌখিক ও ব্যাবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। দেশি-বিদেশি জার্নালে পাবলিকেশন আছে এমন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিন্তু হায়! পরীক্ষায় বসে দেখি রীতিমতো প্রতারণা করা হয়েছে। এমন একটি দেশসেরা প্রতিষ্ঠান তার কথা রাখেনি! গবেষণা কর্মকর্তা নিয়োগে প্রশ্ন করেছে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান ও গণিত বিষয়ে! এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের উল্লিখিত কথাও তারা রাখেনি! যা হোক, একজন গবেষণা কর্মকর্তা নিয়োগ পদ্ধতি যদি এমন ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে সেই দেশে গবেষণার মানোন্নয়ন কিভাবে সম্ভব হবে, সেটি ভাবা উচিত। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিয়োগপদ্ধতির সংস্কারে হয়তো রাষ্ট্র ও সমাজের প্রয়োজনেই নজর দেওয়া উচিত। রাষ্ট্রের পেশাগত পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক নির্বাচনপদ্ধতির দিকে এগোনো যায় কি না, তা ভেবে দেখা উচিত। আমরা সব ক্ষেত্রে কেবল কর্মী ও কর্মকর্তা তৈরির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি, কিন্তু বিশেষজ্ঞ তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর এ জন্যই আমরা নোবেল পুরস্কার জয়ের চেষ্টা না করে পড়ে থাকছি নোবেলজয়ীদের নাম ও দেশের নাম মুখস্থ করতে। বিশেষ করে চিকিৎসক ও শিক্ষক একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষায়িত দুটি ক্ষেত্র। এ ক্ষেত্রে অন্তত নিয়োগপদ্ধতির সংস্কার দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণেই প্রয়োজন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ওয়েটেজ সিস্টেম রাখা যায়। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পঠিত বিষয়ে জ্ঞানের গভীরতা, প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে গবেষণাকর্ম, অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা জার্নালে প্রবন্ধ ইত্যাদি। এমনকি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে পাঠদানে দক্ষতা যাচাইও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একজন উত্তম ফলাফলের অধিকারীই যে একজন উত্তম শিক্ষক হতে পারবেন, এটি সব ক্ষেত্রে সঠিক নয়। এসব বিশেষজ্ঞসুলভ নিয়োগের ক্ষেত্রে ভিন্ন প্রশ্নে ভিন্নভাবে পরীক্ষা ও বাছাই পদ্ধতি প্রয়োগের যথেষ্ট যৌক্তিকতা আছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের দেশটি কেবল কর্মী বা কর্মকর্তা সমৃদ্ধ দেশ না হয়ে একটি বিশেষজ্ঞের দেশে পরিণত হোক। উন্নত দেশের সঙ্গে কেবল তুলনা না করে, তারা কিভাবে বিজ্ঞানী তৈরি করছে, কিভাবে গবেষক তৈরি করছে, কিভাবে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব বিষয় নিয়ে বিশদভাবে পর্যালোচনা করা অত্যন্ত জরুরি। সে অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণও দরকার। তাহলে হয়তো আমাদের তরুণ প্রজন্ম কেবল নোবেলজয়ীদের নাম ও জীবনবৃত্তান্ত মুখস্থ করার মাঝে সীমাবদ্ধ না থেকে নোবেলজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখার অবকাশ পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষকের প্রাচুর্য লক্ষ করা যাবে। শিক্ষাদীক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানেও দেশটি সমৃদ্ধির চরম শিখরে পৌঁছে যাবে।  </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বরিশাল ক্যাডেট কলেজ</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">zahidbd462@gmail.com  </span></span></span></span></p> <p> </p>