<p>প্রায় ২০ বছর আগে করা জোড়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ময়মনসিংহ জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. কোহিনুর মিয়া বেকসুর খালাস পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ময়মনসিংহ জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবরিনা আলীর আদালতে এ রায় দেওয়া হয়। ওই সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন কোহিনুর।</p> <p>স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ২০০৪ সালের ৯ মে নান্দাইল পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে আচারগাঁও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে পুলিশ। ওই সময় আবু তাহের (৪০) ও সুজন (২৫) নামের দুই ভোটার নিহত হন। পরে নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। </p> <p>পরে পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. রফিক উদ্দন ভুইয়া বাদী হয়ে ২০১১ সালে নান্দাইলের বিএনপির সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভুইয়া, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া, বিএনপি নেতা গোলাম হায়দার খান ফয়সল ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুছ ছাত্তার ভুইয়া উজ্জলসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আরেকটি মামলা করেন। </p> <p>ওই মামলাটি তদন্ত করে মামলা থেকে চারজনকে বাদ দিয়ে কোহিনুর মিয়া ও আব্দুছ ছাত্তার ভুইয়া উজ্জ্বলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় ময়মনসিংহ সিআইডি। পরে মামলাটি আদালতে চলমান থাকে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক অভিযুক্ত দুজনকে বেকসুর খালাস দেয়। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান, আতাউর রহমান মুকুল এবং এম এ হান্নান। সরকারপক্ষে ছিলেন পিপি আনোয়ার আজিজ টুটুল।</p> <p>অ্যাডভোকেট খালেকুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, মামলাটি সাক্ষীর মাধ্যমে সন্দেহাতীত প্রমাণ করতে না পারায় সব আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।</p> <p>সংশ্লিষ্টরা জানায়, গোলযোগ কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুছ ছাত্তার ভুইয়া উজ্জ্বল। পরে দল পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি। এক পর্যায়ে তিনি দলটির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়ে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। এখনো তিনি আওয়ামী লীগের স্থানীয় শীর্ষ নেতা হিসেবে পরিচিত।</p>