<p>গত ৩ নভেম্বর থেকে সারা দেশে অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন বন্ধে ২১৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ৪৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ৫৯ হাজার ৯৫৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।</p> <p>শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর হাতিরপুল ও পলাশী কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার রোধে পরিচালিত মনিটরিং কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস।</p> <p>তিনি বলেন, ‘অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন বন্ধে অভিযান জোরদার করা হবে। এ জন্য মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অবৈধ পলিথিন পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘৩ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী ২১৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ৪৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ৫৯ হাজার ৯৫৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘পলিথিনের কারণে পরিবেশদূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এটি নদী-খালের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে।’ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জনসচেতনতা বাড়ানো ও বিকল্প ব্যাগ ব্যবহারে অভ্যস্ততা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।</p> <p>তিনি বলেন, বাজারে গেলে নিজের ব্যাগ নিয়ে যেতে হবে। পাটের, কাপড়ের ব্যাগের পাশাপাশি মোমপালিশ করা কাগজের ব্যাগে মাছ-মাংস নেওয়া যায়। গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পলিথিন বন্ধে সফল হতে সবার সহযোগিতা চাই।’</p> <p>মনিটরিং কার্যক্রমে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। মনিটরিং টিম বাজারের দোকানগুলোতে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে। দোকানিদের পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহিত করতে প্রচারণাও চালানো হয়।</p>