<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজশাহী নগরীর তালাইমারী এলাকায় সরকারি জমিতে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার প্রকল্পের আওতায় নির্মিত প্রায় ৬৩ কোটি টাকার একটি তিনতলা ভবন অবহেলায় পড়ে আছে। ১২৫ কোটি টাকার প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করতে। পাশাপাশি ভবনটি নির্মাণে বাড়তি ব্যয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিলেন তৎকালীন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বজলুর রহমান। ৬২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি বছরের মার্চে ভবনটির অবকাঠামো নির্মাণের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়। সব মিলিয়ে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা। তবে এই প্রকল্পের আওতায় ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও সেটি এখন অবহেলায় পড়ে আছে। ভবনটি কী কাজে ব্যবহার করা হবে তা বলতে পারছে না আরডিএ কর্তৃপক্ষ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঙ্গবন্ধু স্কয়ার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নাম পাল্টিয়ে কী নাম দেওয়া হবে, সেটিও ঠিক করতে পারছেন না আরডিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে সরকারি সম্পত্তি ও প্রায় শত কোটি টাকা খরচ করে শেখ হাসিনাকে খুশি করতে এবং এ ধরনের প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই আরডিএর কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ছিল ক্ষোভ। তবে চাকরি হারানোর ভয়ে কেউ এত দিন মুখ খুলতে সাহস পাননি। এখন তাঁরা বলছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিজেদের স্বার্থে করা এই প্রকল্প বাতিল করে জনগণের প্রয়োজনে ব্যবহার হবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন কোনো কাজের জন্য যেন ভবনটি ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি এই ভবন নির্মাণে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেটি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ভবনটির অবকাঠামো নির্মাণের জন্য পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিতে বাড়তি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে শুরুতে অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর কালের কণ্ঠে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সময় অভিযোগ উঠেছিল, শেখ হাসিনাকে খুশি করার পাশাপাশি এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ফন্দিই ছিল অন্যতম। সে কারণে পছন্দের ঠিকাদারকে দিয়ে কাজটি করানো হয়। এরই মধ্যে ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের সময় ভবনটির বাইরের দরজা ও জানালার কাচসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরডিএ সূত্র মতে, ২০১৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন হয় একনেকে। অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু কাজের মাঝপথে এসে প্রকল্পটির নকশায় ব্যাপক পরিবর্তন আনে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। মহানগরীর তালাইমারী মোড়ে এই প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয়েছিল প্রথমে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। পরে সেটির ব্যয় বাড়িয়ে শুধু প্রথম ধাপের (অবকাঠামো নির্মাণ বাবদ) জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রথমে প্রকল্প মেয়াদ ছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত। পরে সেটি ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল তারিক কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকল্পটিতে কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে প্রথম ধাপে ভবনটির অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে। এখন আর বাকি কাজগুলো করা হবে না। বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নামটি থাকবে না। ভবনটি কী কাজে ব্যবহার করা হবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি। এ ছাড়া নতুন নামও ঠিক করা হয়নি। আমরা এসব নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>