<p>পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের পশারীবুনিয়া গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব রতিকান্ত হাওলাদার মানসিক প্রতিবন্ধী। চার মেয়ে ও মানসিক প্রতিবন্ধী স্ত্রী নিয়ে অভাবের সংসার তার। ঘর নয়, যেন আদিম বসতি। তালপাতা আর খড়কুটোর ছাউনির ঘরে ছয় সদস্যের পরিবারের বসতি। বসতির এক টুকরা জমিই তাদের সম্বল। বনবাদাড়ের শাকপাতা সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে চলছে জীবন ও জীবিকা। ঝড়-বৃষ্টিতে আর শীতে অসহায় প্রতিবন্ধী রতিকান্তের পরিবার। প্রতিবন্ধী ভাতা থেকেও বঞ্চিত পরিবারটি।</p> <p>রতিকান্তের বড় মেয়ে রত্না হাওলাদার (১৩) জানায়, সে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে এবার উত্তীর্ণ হলেও নতুন স্কুলে ভর্তি হতে পারবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত। শাকপাতা সংগ্রহ না করলে ভাত জোটে না তাদের। অন্যের দেওয়া কিছু কাপড় পরে স্কুলে যেতে হয়।</p> <p>রত্না বলে, ‘ঘর না থাকায় এই শীতে আমরা খুব কষ্টে আছি। আমাগো কেউ দেখার নেই। একটি ঘরের অভাবে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। আমার বাবা শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কারণে তেমন কোনো কাজ করতে পারে না। আমাদের অনেক কষ্টে দিন কাটছে। আমাদের পরিবারের মাথা গোঁজার জন্য একটি ঘর খুব দরকার।’</p> <p>ধাওয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস আলী মোল্লা বলেন, ‘আমি কেবল পরিষদের দায়িত্ব নিয়েছি। রতিকান্ত হাওলাদারের বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়ে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় পরিষদ থেকে সে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’</p> <p>এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন আরাফাত রানা বলেন, ‘রতিকান্তের পরিবারের ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। বিষয়টি খুব মানবিক। খোঁজ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারটির পাশে থাকার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’</p> <p> </p>