<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাঝে কিছুটা শান্তি ফিরলেও ফের নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারতের উত্তরা-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের নতুন করে সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন বা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আফস্পা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> জারি করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। জিরিবামসহ ছয়টি থানা এলাকায় এই আইন বলবৎ করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতের অশান্ত এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য প্রথম এই আইন বলবৎ করা হয় ১৯৫৮ সালে। প্রথম এই আইন প্রয়োগ করা হয় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল মণিপুর ও আসামে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আফস্পা আইনের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনী চাইলেই সন্দেহভাজন হিসেবে যে কাউকে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে পারবে। কাউকে সতর্ক করে দেওয়ার পর কাজ না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাঁকে গুলি করতে পারেন। নিরাপত্তা বাহিনী অস্ত্র ভাণ্ডার, গোপন ডেরা, যেখান থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র আক্রমণ হয়েছে বা হতে পারে, সন্দেহজনক সেই সব ডেরা বা অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করে দিতে পারবে। সন্দেহভাজন কাউকে বা কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে অশান্ত এলাকার যেকোনো বাড়ি বা জায়গায় ঢুকে পড়তে পারবে সশস্ত্র বাহিনী। সন্দেহজনক যেকোনো গাড়ি আটকে তল্লাশি চালাতে পারবে নিরাপত্তা বাহিনী। আফস্পা বলবৎ থাকলে নিরাপত্তা বাহিনী বাড়তি রক্ষাকবচ পায়। অশান্ত এলাকায় আফস্পা প্রয়োগ করা থাকলে কোনো ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না। সরকার কেন কোনো এলাকাকে অশান্ত বলে মনে করছে সেই সিদ্ধান্ত দেশের সাধারণ বিচারব্যবস্থায় খতিয়ে দেখা যাবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাভাবিকভাবেই এই আইনের বিরুদ্ধে বারবার ভারতের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ উঠেছে। এই আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করারও দাবিও তুলেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন প্রশ্ন হলো, অশান্ত মণিপুরে আদৌ কি শান্তি ফেরাতে পারবে আফস্পা? অতীতের দিকে তাকালে অবশ্য তেমন আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০০৪ সালের ১৫ জুলাই মণিপুরের কাংলা দুর্গের সামনে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে কয়েকজন নারী আসাম রাইফেলসের জোয়ানদের হাতে থাংজাম মনোরমার ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল ওই ঘটনা। ওই নারীদের দুই হাতে তুলে ধরা ফেস্টুনে লেখা ছিল : </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতীয় সেনা, এসো, আমাদের ধর্ষণ করো।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং উপদ্রুত এলাকা আইন রধের দাবিতে শুধু মণিপুরই উত্তাল হয়নি, কাশ্মীর উপত্যকাও বারবার উত্তাল হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিতর্কিত এই আইন বলবৎ থাকার পরও আজও মণিপুর, আসাম, কাশ্মীরে অশান্তি থামেনি। তাই অশান্ত মণিপুরে আফস্পা প্রয়োগের পরও সহসা শান্তি ফেরার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।</span></span></span></span></p>